সর্বশেষ সংবাদ :

রাবির সিএসআইএস’র উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলের দশ জেলায় কোভিড টিকার প্রচারাভিযান সম্পন্ন 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর সোশ্যাল ইনোভেশন এন্ড সাসটেইনেবিলিটি (সিএসআইএস)’ এর উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলের ১০ জেলায় কোভিড-১৯ টিকা সচেতনতার প্রচারাভিযান গতকাল শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। গতকাল রাতে একটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে প্রচারাভিযানের সমাপ্তি ঘটে।

 

ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় তিনটি ধাপে ২০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পেইনগুলো সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে নঁওগা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও জয়পুরহাট জেলায়, দ্বিতীয় ধাপে পাবনা, নাটোর ও লালমনিরহাট জেলায় ক্যাম্পেইন চলে। পরে শেষ ধাপে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে শিক্ষার্থীরা। প্রত্যেক জেলার প্রতিটি উপজেলায় এ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।

 

প্রত্যেকটি জেলায় সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইনে প্রান্তিক, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সম্পর্কে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করা হয়। এসময় নিজ নিজ এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রবণতা ও টিকা নেয়ার বা না নেয়ার কারণ পর্যবেক্ষণ করেন। তারা মানুষের মধ্যে টিকা সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা পর্যবেক্ষণ করে তাদেরকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেন।

 

সবশেষে গতকাল রাতে ওয়েবিনারে প্রচারাভিযানে যুক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সিএসআইএস এর পরিচালক ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সিএসআইএস এর সদস্য ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল, প্রফেসর ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, ড. নাজিয়াত হোসেন চৌধুরী, মামুন আ. কাইউম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম মাহমুদুল হক, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম রাব্বানী ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শুভ কর্মকার।

 

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে করোনার প্রকোপ কমায় প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া হলেও এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে বুষ্টার ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। আবার সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের টিকার হার তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও করোনায় ঝরে পড়াদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। বক্তারা প্রাপ্তবয়স্কদের করোনার টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ এবং সকল শিশুর টিকা নিশ্চিতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

উল্লেখ্য, গ্রুপটি করোনার প্রকোপের সময় ও পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নিজ নিজ জনগোষ্ঠীর মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতনতা তৈরীর কাজ করেছে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২ | সময়: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর