বাঘায় তরমুজের পিচ হিসাবে কিনে কেজি দরে বিক্রিতে ক্ষোভ জনমনে !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :

চলছে চৈত্র মাস। তবে এখনো পূর্ণদমে গরম পড়তে শুরু করেনি। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজানে ইফতারে তরমুজের মতো মৌসুমি ফলের চাহিদা ব্যাপক। বাজারে আমদানিও রয়েছে প্রচুর। তবে দামে চড়া। অনেকেই বলছেন ,ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। তারা মোকাম থেকে পিচ হিসাকে তরমুজ ক্রয় করলেও বিক্রী করছে কেজি দরে।

 

সরেজমিন ঘুরে লক্ষ করা গেছে, বাঘা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এবার চড়া দামে তরমুজ বিক্রী হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এখন যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশির ভাগই অপরিপক্ক। খাওয়ার অনুপযোগী। পবিতা রমজানে ,বাড়তি মুনাফার আশায় এসব তরমুজ বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এগুলো বারোমাসি তরমুজ। মৌসুমি তরমুজগুলো বাজারে উঠতে আরেকটু সময় লাগবে।

 

 

বাঘা বাজার বনিক সমিতির নেতা কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে তরমুজের (পাইকার)বড় মোকাম রয়েছে বরিশালে। সেখান থেকে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চার থেকে আট কেজি ওজনের তরমুজ পিচ হিসাবে কয় করছেন ৮০ টাকা। এরপর সে গুলো খুচরা বাজারে এনে বিক্রী করছেন ৬০ টাকা কেজি। অনুরুপ ভাবে ১০ কেজির উর্ধে যেসব তরমুজ রয়েছে, সেগুলে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় ক্রয় করলেও ,বাজারে বিক্রী করছেন ৭০ টাকা কেজি। ফলে তারা আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হলেও ঠকছেন ক্রেতারা ।

 

উপজেলার আমোদপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, এবার রমজান মাসে বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো কাটলে ভেতরে ফ্যাকাশে এবং অপরিপুক্ক হওয়ার কারনে মিষ্টতা কম। তিনি এ বিষয়ে তরমুজ বিক্রেতাদের ক্রয় চালান দেখে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এর একটা সুষ্ট সমাধানের দাবি জানান।

 

 

এদিকে তরমুজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তরমুজের মৌসুম শুরু হয় মূলত বাংলা বর্ষপঞ্জির চৈত্র মাসের শেষে ও বৈশাখের শুরুতে। খ্রিষ্টীয় (ইংরেজী) বর্ষপঞ্জি হিসাব করলে সময়টা দাঁড়ায় এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ। পাওয়া যায় জুনমাস পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকেই বাজারে দেখা মিলছে তরমুজের। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে রমজান শুরু হতে না হতেই এর বিক্রি বেড়ে গেছে।

 

 

অপর দিকে ক্রেতারা বলছেন, পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু না হলেও রমজানে বেশি লাভের আশায় তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক তরমুজ মাঠ থেকে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। এসব তরমুজ কাটলে ভেতরে লাল রঙ পাওয়া যায় না। মিষ্টতা এবং স্বাদও অনেক কম। এর সঙ্গে চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের আপত্তি তো রয়েছেই। তবে বিক্রেতারা এখন বাজারের তরমুজ গুলোকে বারোমাসি তরমুজই বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। এগুলোর রঙ ও স্বাদ মৌসুমি তরমুজের চেয়ে কিছুটা কম বলেই তারা স্বীকার করে নিচ্ছেন ।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪ | সময়: ১০:০৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine