ফুটবলারদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন কাতার সমর্থকদের

স্পোর্টস ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পাশাপাশি ছিল প্রথমবার বিশ্ব সেরার মঞ্চে খেলার রোমাঞ্চ। পারফরম্যান্স দিয়ে উপলক্ষ রাঙাতে পারেনি কাতার। বরং টানা দুই হারে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। স্বাগতিকদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সে ক্ষুদ্ধ দলটির ভক্তরা। তাদের দাবি, খেলোয়াড়দের মধ্যে নিবেদনের ঘাটতি ছিল।
‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হারে কাতার। এরপর শুক্রবার সেনেগালের বিপক্ষে স্বাগতিকরা হারে ৩-১ গোলে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও একুয়েডর ড্র করায় শেষ হয়ে যায় কাতারের শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের খেলার ধরন সমর্থকদের মোটেও পছন্দ হয়নি। সেনেগাল ম্যাচের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কাতার সমর্থক ইমাম আবদুলরহমানের আলাপচারিতায় তা ফুটে উঠল প্রবলভাবে।
“আমরা এই দলটির কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করেছিলাম, তারা এমন একটি ম্যাচ খেলেছে যা ছিল গড়পড়তা মানেরও নিচে, মনে হচ্ছিল ম্যাচটি যেন বিশ্বকাপের নয়। আমরা অন্তত খেলাটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। এটি ভীষণ বিব্রতকর ছিল।”
“উদ্বোধনী ম্যাচে (একুয়েডরের বিপক্ষে) আমরা তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে তারা চাপে ছিল, কারণ এটি বিশ্বকাপ এবং পুরো বিশ্ব সেখানে উপস্থিত ছিল। কিন্তু আজ তারা আমাদের আরও বেশি হতাশ করেছে।” কাতারের ঐতিহ্যবাহী সাদা থোব টিউনিকের ওপরে একটি মেরুন স্কার্ফ পরে ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন আবদুল রহমান আলমেরি। তার মতে, খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো দায়িত্ববোধ দেখা যায়নি।
“১২ বছরের প্রস্তুতির পর সব স্থানীয় ও আরব জনগণ অপেক্ষায় ছিল এবং শেষ পর্যন্ত পারফরম্যান্স গড়পড়তার নিচে ছিল। এমনকি খেলোয়াড়দের দায়িত্ববোধও আপনার চোখে পড়বে না। বিশ্বকাপে দলের কাছে বড় প্রত্যাশা ছিল খালিদ আল ফায়াদের। তবে কাতারের খেলায় তার ছাপ দেখতে পাননি এই ভক্ত।
“এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক, কারণ ১২ বছর ধরে আমরা অপেক্ষা করেছি। লোকেরা ভেবেছিল যে, তারা এমন একটি দল যারা ইতিহাস তৈরি করতে পারে। আমি অনেক লোকের হতাশা বুঝতে পারি এবং তাদের দলে আমিও আছি।”


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২ | সময়: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর