দুর্গাপুর পৌরসভায় ঠিকাদারি লাইসেন্স নবায়নের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্গাপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ (মেয়র) নগর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কৌশলে হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছেন না অনেক ঠিকাদার।
পৌরসভার বেশিরভাগ ঠিকাদারি লাইসেন্স নবায়ন না করে পছন্দমত ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের নবায়ন করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগি ঠিকাদাররা লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরসভার অধিনে ৩২টি ঠিকাদারি লাইসেন্স ২০২২-২৩ অর্থবছরে নবায়ন আছে। চলতি অর্থবছরে কাজের দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য লাইসেন্স নবায়ন জরুরী। কারণ লাইসেন্স নবায়ন না থাকলে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন ২য় পর্যায়ের দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। নিজের পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে কাজ করার জন্য বারবার আবেদন দেয়া সত্তেও লাইসেন্স নবায়ন করছে না।
জানা যায় বিধি মোতাবেক লাইসেন্স নবায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় বহুল প্রকাশিত পত্রিকা ও নোটিশের মাধ্যমে ঠিকাদারদের জানানো হয়। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। মেয়রের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদার ছাড়া কাউকেও জানানো হয়নি। ভুক্তভোগিরা আশংকা করছেন পৌর মেয়র গোপনে নিজেদের কিছু ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়ন করে তাদের কাজ পাইয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছেন। এ কাজে মেয়র ছাড়াও পৌরসভার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারি জড়িত আছে বলে ভূক্তভোগিরা দাবি করেন। সকলকে লাইসেন্স নবায়ন না করতে দিলে এবং সবায় দরপত্রে অংশ নিতে না পারলে সরকার ও পৌর প্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং জনগণ কাজের মানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা নুতন লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়নসহ দরপত্রে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে এবং তদন্তপূর্বক এর সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান বলেন, তাদের অভিযোগ ঠিক নয়। অফিসিয়ালি কিছু জটিলতার কারনে ঠিকাদারি লাইসেন্স নবায়ন করা যায়নি। তবে শীঘ্রই সব লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩ | সময়: ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ