সর্বশেষ সংবাদ :

ডিসির কৌশলের কাছে নিজেকে ধরা দিল চাকরিপ্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার

রাজশাহী জেলা প্রশাসক কক্ষে পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে চাকরির প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল মঙ্গলবার। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ দুইজন কর্মকর্তা ভাইভা নিচ্ছিলেন। ভাইভা চলাকালীন লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা আব্দুল রাশেদ (২৫) ঢুকেন ভাইভা রুমে।

 

 

 

 

 

তবে প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষা অন্য কাউকে দিয়ে পাশ হওয়া গেলেও মৌখিকে ধরা পড়ে যান আব্দুল রাশেদ। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু রায়হান শেখের পুত্র।

 

 

ভাইভা শেষে প্রক্সি কান্ডে জড়িত আব্দুল রাশেদের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানান,আমরা শতভাগ সচ্ছতার সাথে চাকরিপ্রার্থীদের নিতে চাই। এখানে যারা ভালো ফলাফল করবে তাদের কোন প্রকার অবৈধ লেনদেন ছাড়ায় আবেদন পত্রে যে টাকা খরচ হয়েছে তাতেই চাকরি পাবে। পরীক্ষার দিন এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তারপরও এমন কিছু মানুষ করবে এটা দু:খের বিষয়।

 

 

 

 

ছেলেটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগিটি মারা গেল পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলেন ইংরেজিতে সেটি আবার লিখে দেখাতে। কিন্তু তার হাতের লেখা মেলেনি, বাক্যেও ইংরেজি শব্দের সবই ভুল ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে জেরা করতেই লিখিত পরীক্ষা তার বদলে অন্য কেউ দিয়েছে বলে স্বীকার করেন ভাইভা বোর্ডে। এজন্য তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

রাশেদের বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তিনি চাকরির আবেদন করেছিলেন। এ পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস। গত শুক্রবার রাজশাহীতে এই পদের চাকরির লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় মৌখিক পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এ দিন জেলা প্রশাসকের দপ্তরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল।

 

 

 

 

জেলা প্রশাসক জানান, যিনি লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন রাশেদ তাঁর নাম জানাননি। কত টাকার বিনিময়ে প্রক্সি নেওয়া হয়েছে সেটিও জানাননি। প্রক্সি নেওয়ার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে রাশেদকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

তিনি আরও জানান, তাঁরা মোট ৬৫ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বসেছিলেন। রাশেদ ধরা পড়ে তাঁর কারাদণ্ড হওয়ায় আরও কয়েকজন ভাইভা বোর্ডের সামনেই আসেননি। দু একজন অফিসের সামনে থেকে তড়িঘড়ি পালিয়ে গেছেন বলেও জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ | সময়: ৬:০৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine