সর্বশেষ সংবাদ :

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলো হামলার মহড়া ছিল, বলছে উত্তর কোরিয়া

সানশাইন ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলো দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলার অনুশীলন ছিল কারণ ওই দুই দেশ ‘বিপজ্জনক যুদ্ধ মহড়া’ চালাচ্ছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ‘সতর্ক ঝড়’ নামের ছয় দিনের বিমান মহড়া শুরু করার পর গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও শত শত কামানের গোলা ছুড়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। ওই সময় পিয়ংইয়ং একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছিল, তবে তা ব্যর্থ হয় বলে ধারণা পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় যৌথ ওই বিমান মহড়া শনিবার শেষ হয়েছে।
এরপর সোমবার উত্তরের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “‘সতর্ক ঝড়’ অনুশীলন উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি করার একটি প্রকাশ্য উস্কানি এবং অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ধরনের একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ মহড়া ছিল।” উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরসহ বিমান ঘাঁটি, আকাশযানে আক্রমণ চালানোর মহড়া চালিয়েছে। ‘শত্রুর ধারাবাহিক যুদ্ধ উন্মাদনা গুড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে’ মহড়াটি পরিচালিত হয়েছে, বলেছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই সময় উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঝড় বইয়ে দেয়, সেগুলোর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ নিক্ষেপের রেকর্ডও গড়ে। আগের যে কোনো বছরের চেয়ে চলতি বছর ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত দেশটি। উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ২ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান উপকূলের জলসীমা লক্ষ্য করে দুটি ‘কৌশলগত’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর উলসানে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বড় বড় শিল্প পার্ক আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা উত্তরের সামরিক বাহিনীর এই বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করে জানিয়েছে, তাদের রাডারে সেখানে কাছাকাছি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ধরা পড়েনি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই অভিযানে ওয়ারহেড যুক্ত দুটি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, ‘শত্রুর অপারেশন কমান্ড সিস্টেমকে প্যারালাইজ করে দিতে এই বিশেষ বিচ্ছুরণ ওয়ারহেড দুটি’ পরীক্ষা করা হয়েছে।
আর ৫০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে সর্বাত্মক ‘আক্রমণের মহড়া’ চালানো হয়েছে বলেও এতে দাবি করা হয়েছে। আরেক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মির (কেপিএ) জেনারেল স্টাফ বলেছে, “শত্রুর উস্কানিমূলক সামরিক তৎপরতা যত ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে কেপিএ ততোধিক পুঙ্খানুপুঙ্খ ও নির্দয়ভাবে সেগুলো প্রতিহত করবে।”


প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ | সময়: ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ