বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে : লিটন

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নামসর্বস্ব বিভিন্ন দল রাজপথ দখলের নামে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যে বিএনপি অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া দল। এই দলের নেতাকর্মীরা কখনো পালিয়ে যাবে না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এদেশের মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুশাসনের সঙ্গে উন্নয়ন দিচ্ছেন, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমরা কেন পালিয়ে যাব? পালিয়ে যাবে ওরা, যারা নির্বাচনের আগে শর্ত দেয়, নির্বাচনে আসে না এবং নির্বাচনের পরে আগুন সন্ত্রাস করে। তারাই পালিয়ে যাবে।
রবিবার সকালে রাজশাহীর শহীদ ডা. কাইছার রহমান মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই প্রসঙ্গে আমাদের দল পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের আর কোন সুযোগ নেই। বর্তমান ক্ষমতাশীন দল ক্ষমতায় থেকে, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচন কমিশনের মাধমে নির্বাচন হবে। তাতে বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না আসুক। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে, এইবার নির্বাচনের পর তারা যদি কোন অপপ্রয়াস, আগুন সন্ত্রাস বা অরাজক পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তাহলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে এদেশীয় এজেন্টদের মধ্যে প্রধান ভুমিকা পালন করেছে জিয়াউর রহমান। শিখন্ডী ছিল খন্দকার মোস্তাক। আর ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে ছিলো ফারুক, রশীদ, ডালিম, হুদারা। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করার ক্ষেত্রে আরো একটি দল ভুমিকা রেখেছে, সেটি হচ্ছে তৎকালীন জাসদ। খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আওয়ামী লীগে এখন অনেক নেতাকর্মী। দলের মধ্যে থাকা মীর জাফরদের ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে দাবি উঠেছে কমিশন গঠনের। কারা কারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং কারা কারা এই হত্যাকাণ্ডে বেনিফিশিয়ারি-এটা খুঁজে বের করতে হবে। তারা জীবত থাকুক আর ইহকাল ত্যাগ করুক, তাদের পরিচয় জানার অধিকার জাতির আছে।
শোক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
প্রধান বক্তা জননেতা এস. এম কামাল বলেন, বিএনপি হলো একটি ভুঁইফোড় সংগঠন। বিএনপি’র যাত্রা শুরু হয়েছে মিথ্যাচারের রাজনীতি দিয়ে। তারা অপপ্রচারের রাজনীতিতে মগ্ন। জনগণের ভালোমন্দতে তাদের কোন যায় আসে না। এমনিভাবে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের সেবায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনও পিছু হটবে না। বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন থেকে শুরু সকল অর্জন এই সংগঠনের হাত ধরেই হয়েছে। বর্তমানের বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল।
শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মাহ্ফুজুল আলম লোটন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিয়ষক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, কল্পনা রায়, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, মোখলেশুর রহমান কচি, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, আলিমুল হাসান সজল, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২২ | সময়: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর