রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা এলাকায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীর তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য নিম্নমানের ব্লক তৈরির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী সহ খোদ বাঁধ রক্ষনা-বেক্ষন কমিটির সদস্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মনিরুজ্জামান ও বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।
মঙ্গলবার সরেজমিন বাঘা উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের জুলাই মাস থেকে নদীর তীর প্রতিরক্ষায় ব্লক তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্লক নির্মাণে ডোমার বালুর পরিবর্তে নদীর মাটি মিশ্রিত বালু, ছোট উন্নত পাথরের স্থলে নিম্নমানের বড় পাথর এবং কম পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ব্লক নদীর তীরে ব্যবহার করা মাত্রই নষ্ট হয়ে যাবে।
সেখান থেকে ফিরে বাধ রক্ষনা-বেক্ষন কমিটির সদস্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মনিরুজ্জামান, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল এবং সংশ্লিষ্ঠ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তাঁরা ব্লক তৈরীতে অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাত’শ কোটি টাকা ব্যায়ে দুই উপজেলার নদী তীরবর্তী ১২ কিলো মিটার বাঁধ রক্ষার জন্য ১০ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লক তৈরীর কাজ করছে। ইতোমধ্যে সরকারি ভাবে বিল না দেওয়ায় ৭ জন ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কে অবগত করা হয়েছে, কিন্তু তাঁরা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফকরুল হাসান বলেন, ব্লক তৈরিতে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। কারণ বুয়েটে এসব ব্লক পরীক্ষা করার পর কাজের বিল ছাড় দেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহামুদ রাসেল বলেন, কাজে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়।তবে বিল দিতে না পারার ঘটনা সঠিক। আমরা খুব শির্ঘই সরকারের কাছ থেকে অর্থ বদাদ্দ পাবো। আসা করছি এই বরাদ্দ এলে ঠিকাদারদের বিল পরিষদ করতে পারবো।