বাঘায় শীতের আমেজে অফিসার্স ক্লাবের পিঠা উৎসব ও বারবিকিউ পার্টি

নুরুজ্জামান,বাঘা : সময় বদলাচ্ছে। উৎসব গুলোতে আসছে নিত্য নতুন পরিবর্তন। শীতকাল মানেই এখন শুধু যে পিঠাপুলির উৎসব, তা নয়। কুয়াশা ভরা হিম শীতল বাতাসে বারবিকিউ পার্টির আনন্দটাই অন্যরকম। এ যেন এখনকার জেনারেশনের নতুন ট্রেন্ড কিংবা চড়ুইভাতির আধুনিক রূপ। পার্থক্য এটুকুই-চড়ুইভাতির মতো এটি দিনে নয়, বরং রাতেই বেশি করা হয়।

শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এখন শীত উদযাপনের অন্যতম মাধ্যম বারবিকিউ পার্টি। আর তাতে পিছিয়ে নেই বাঘা উপজেলা অফিসার্স ক্লাব। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কন-কনে শীত উপেক্ষা করে অফিসার্স ক্লাবের পক্ষে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব ও বারবিকিউ পার্টি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাংলোর সামনে বাঘা উপজেলায় কর্মরত অফিসারদের নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ গ্রহন করেন অধিকাংশ অফিসার বৃন্দ। অনুষ্ঠানে কেউ-কেউ সংগীত পরিবেশন করেন। অনেকেই কবিতা আবৃত্তি। আবার অনেকেই নানা রকম রেসিপির মাধ্যমে হরেক রকম রান্না ও পিঠা তৈরিতে মেতে উঠেন। চলে একটানা আড্ডা, সেই সাথে আলোক বিন্যাস আর খেলাধুলা সহ বারবিকিউ তৈরির কাজ।

এই উপজেলায় কর্মরত অফিসারদের পেশাগত কর্মব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় আনন্দময় করতে ও গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ পিঠা উৎসবের পাশা-পাশি বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে নানা রকমের পিঠার মন মাতানো গন্ধ আর আলোক সজ্জায় ভরে ওঠে উপজেলা চত্বর।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা জানান, বারবিকিউ পার্টি আসলে একটা উপলক্ষ মাত্র। আমি সকল অফিসারদের সাথে মিলে-মিশে কাজ করতে চাই। এ জন্য এই আয়োজন। মুরগি, মাছ কিংবা হাঁসই এর প্রধান উপাদান। সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মসলা, তারের নেট ইত্যাদি আয়োজনের মূল সরঞ্জামাদি।

তাঁর মতে, প্রতিদিনের নানা ব্যস্ততার ভিড়ে এসব উৎসব রোজকার ক্লান্তি দূর করে। তৈরি হয় বন্ধন, বোঝাপড়া, ভালোবাসা। পরিবারের বাইরে তৈরি হয় আরও একটি পরিবার।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২ | সময়: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ