বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাজশাহীতে বিভিন্ন মহলের শোক

স্টাফ রিপোর্টার: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খান শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তোয়াব খান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন।
রাসিক মেয়র: গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার এক শোক বিবৃতিতে এই শোক প্রকাশ করেন রাসিক মেয়র।
শোক বিবৃতিতে রাসিক মেয়র বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান এর মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
আরইউজে: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বিবৃতিতে আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক মরহুম তোয়াব খানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বিবৃতিতে আরইউজে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রয়াত তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জীবন্ত আর্কাইভ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ শব্দসৈনিক মুক্তিযুদ্ধকালে যে ভূমিকা রেখেছেন তা দেশবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন স্মরণে রাখবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার বিকাশে বর্ষীয়ান এ সাংবাদিকের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রাবিসাস: রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)। শনিবার দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি নুরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম এক যৌথ বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘তোয়াব খানের মৃত্যুতে দেশ আরো একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারালো। মেধাবী ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের জীবনাবসানে এ যুগের সাংবাদিকতায় এক শূন্যতা তৈরি হলো। যা দেশের গণমাধ্যম জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।’
প্রসঙ্গত, তোয়াব খান ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।
দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। এরপর ২০২২-এ নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২ | সময়: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর