সর্বশেষ সংবাদ :

ফেসবুকে নিজের সমালোচনা দেখে হাসি পায় সাকিবের

স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ৩ মে। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলবেন না। তবে মিরপুরে অনুষ্ঠিতব্য পরের দুটি ম্যাচ খেলবেন বাহাতি অলরাউন্ডার। চট্টগ্রামে তিনদিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পের দল ঘোষণার দিন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ে ২৮ তারিখে বাংলাদেশ পা রাখবে। মে মাসের ৩, ৫ ও ৭ তারিখে চট্টগ্রামে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে, ঢাকায় বাকি দুটো ম্যাচ ১০ এবং ১২ মে। সাকিব চট্টগ্রাম পর্বে থাকছেন না- এমন আভাস দিয়ে লিপু বলেছিলেন, ‘আমরা দলটা ২৮ তারিখ দিবো, তখনি আপনারা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন যে সে (সাকিব) কয় ম্যাচের জন্য অ্যাভেইলেবল থাকছে এবং কয়টার জন্য থাকছে না।’
লিপু সাকিবের অ্যাভেইলেবেলের কথা বললেও সাকিব বলছেন উল্টো কথা। কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলবো। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন (দ্বিধা) চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলবো না, ডিপিএল খেলবো…আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এতো কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’
জাতীয় দলের কোনও সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুইটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।’
যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানদের সঙ্গে অখণ্ড অবসর কাটাচ্ছেন সাকিব। এই সময়টাতে সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও সরব থাকেন তিনি। তেমনটাই জানালেন দেশের সেরা এই ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুর ম্যাচগুলোতে সাকিবের না খেলা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। সেসব দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন বাহাতি এই অলরাউন্ডার, ‘আমেরিকায় থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে।’


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ