সর্বশেষ সংবাদ :

পবায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাতে প্রার্থীরা গণসংযোগে বাড়ি বাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার: তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। এদিন রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এরআগে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবের আমেজ শেষ হতে না হতেই এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে না বিএনপি এমনটাই জানা গেছে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না পণ করেছে তারা। যারা প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এবারে দলীয় প্রতিক (নৌকা) না থাকায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ব্যাপক তোড়জোর লক্ষ করা যাচ্ছে। পবা উপজেলায় অন্তত ১২ জন প্রার্থী মাঠে নামছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে দলীয় সমর্থনের জন্য তাদের লড়াই শুরু হচ্ছে। আবার দলীয় প্রতিক থাকবে না-এমন অবস্থায় দলের বাইরের অনেকে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের সামর্থ ও সমর্থন জানান দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে শুরু করেছেন গণসংযোগসহ নানান তৎপরতা। সামাজিক নানা কর্মকান্ডে নিজেদের মেলে ধরছেন।
সুত্র মতে, এই উপজেলায় প্রার্থী তালিকায় চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী খান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ভুলু, নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক। তবে এখন পর্যন্ত গণসংযোগে এগিয়ে আছেন ফারুক হোসেন ডাবলু।
তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ ত্যাগি ও নির্যাতিত নেতা হিসেবে দাবি করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি পবা ও জেলা যুবলীগের বিভিন্ন পদে এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন ও আছেন। তিনি নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ শাখা সহসভাপতি (১৯৯২-১৯৯৩) ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ (১৯৯২-১৯৯৫) এবং দামকুড়া ইউনিয়ন শাখা (১৯৯১-১৯৯৪) সভাপতি ছিলেন।
সোমবার বিকাল থেকে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হাড়ুপুর, নবগঙ্গা, সোনাইকান্দি, জাঙ্গাল পাড়া, হরিপুর ও বেড়পাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, রেন্টু রহমান, বাচ্চু হোসেন, দুলাল বাবু, নাজমুল ইসলাম কালু, সামশুজ্জোহা, রবিউল হোসেন বাবু, আনিসুর রহমান, দুলাল হোসেন, হোসেন আলী প্রমুখ।
উল্লেখ, গত ১৭ এপ্রিল বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এই তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোট ২৯ মে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪ | সময়: ৪:০৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ