সর্বশেষ সংবাদ :

দীর্ঘদিন পর গোদাগাড়ীতে হঠাৎ জামাতের তৎপরতা

স্টাফ রিপোর্টার : এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেনা এমন ঘোষণা সত্ত্বেও এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছে গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নেতারা।
বিএনপির সাথে জোটভুক্ত হয়ে বিগত দিনে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল ধরনের স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করে আসছে দলটি। তবে আওয়ামী লীগ এবার ভোট উৎসব মুখর করতে দলীয় প্রার্থী ও প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণায় গোদাগাড়ী উপজেলায় বিএনপি- জামায়াতের নেতারা নির্বাচনী জনসংযোগ করছে তারা।
এই দলদুটি কেন্দ্রীয় ভাবে কোন প্রার্থী ঘোষণা না দিলেও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা ভোট করতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। এমনকি দলীয় ভাবে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন কোন স্পষ্ট ঘোষণাও নেই।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতারা গোদাগাড়ী উপজেলায় ভোটে মেতে উঠেছে নেতারা।
এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আসবেনা সত্বেও উপজেলা নির্বাচনে আসায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে দলটি। এই নিয়ে অন্যদল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ৮মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর আহ্বান জানিয়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৮ এপ্রিল) গোদাগাড়ী পৌর শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার ও মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত দাবি জানান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম গোদাগাড়ী উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পশ্চিম জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল খালেক।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা পশ্চিম জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সহ- সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের আমির নুমায়ুন আলী, পৌর জামায়াতের আমির আনারুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা পশ্চিম শিবিরের সভাপতি রমজান আলী প্রমুখ।
ইফতার ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে জামায়াতের নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় কোন সিদ্ধান্তে নয় যেহেতু স্থানীয় সরকারের নির্বাচন তাই জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মনে করছেন সরকার নিজে দলীয় কোন প্রার্থী বা প্রতীক দিচ্ছে না। তাই জামায়াতে নেতৃবৃন্দের নির্বাচনে আসা প্রয়োজন। জামায়াতের মাঠ পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ভোটের মাঠে আছেন আপাতত মনে হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে, মাঠে ভোট চাইতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
জামায়াত ইসলাম ঘোষণা দিয়েছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন স্বচ্ছ হবে না এবং যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে জাতীয় বেইমান বলে চিহিৃত হবে এমন ঘোষণা জামায়াতে ইসলাম দিয়েছিলো। সেই ক্ষেত্রে কেনো নির্বাচন করছেন এবং ভোট স্বচ্ছ হবে কিনা মনে করেন? এটা স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় সিদ্ধান্তে আমরা ভোট করছি। যেহেতু সরকারের কোন ঘোষিত প্রার্থী বা প্রতীক নেই আর মাঠে নির্বাচনী মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশ লক্ষ করছি তাই আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তবে জাতীয় বেইমান হওয়ার ঘোষণার বিষয়টি অস্বীকার করেন জামায়াতের নেতারা।
জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত আমির জামিনে মুক্তি পেয়েছে এবং সরকারের সাথে সমঝোতা করে পাতানো নির্বাচনে আসছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা কারো প্রস্তাবে নির্বাচন করছি না বা সরকারের কোন পাতানো নির্বাচনে জামায়াতে ইসলাম কোন দিন অংশ গ্রহণ করেনি ভবিষ্যতেও করবে বলে জানান। জামায়াতের আমির জামিনে বেরিয়ে এসেছেন এটা তার সাংবিধানিক অধিকার তাই জামিনের সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নাই বলে দাবি করেন তারা।
জামায়াত নেতারা সাংবাদিকদের প্রতি নিরপেক্ষ ও সততার জায়গা থেকে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন আমরা এবার উপজেলা ভোটে নির্বাচন করছি, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে আমরা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকতে চাই তাই সাংবাদিকদের মাধ্যম সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট অনুরোধ জানাবো আগামী নির্বাচনে কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা ও সাংবাদিকরা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবে এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের আহ্বান জানান।
এই ইফতার ও মতবিনিময় সভায় গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রোনিক ও অনলাইন গণমাধ্যম কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪ | সময়: ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর