নাটোরে চাচাতো ভাইয়ের কোদালের আঘাতে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু 

নাটোর প্রতিনিধি : 
জমি সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের জেরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় আপন চাচাতো ভাইয়ের কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত মোঃ জিল্লুর রহমান (৪৮) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোঃ আহাদ আলী (৫৫) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এরআগে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে জিল্লুর রহমান মাথায় প্রতিপক্ষের কোদালের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম হন। এ অবস্থায় তাকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেকে স্থানান্তর করা হয়। আর অন্যদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত জিল্লুর রহমান উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার থল ওলমা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আটক মোঃ আহাদ আলী একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

 

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চাঁদপুর গ্রামের রেজাউল, রহিদুল ও জিল্লুর রহমানের সাথে আপন চাচাতো ভাই আবেদ আলী, হামেদ ও সামাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে শুক্রবার দুপুরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং লাঠি-সোটা, কোদাল, হাসুয়া নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একই সঙ্গে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে জিল্লুর রহমান সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ঊভয় পক্ষকে থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইয়েরা তার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর জখম হন তিনি।

এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা জিল্লুর রহমান সহ আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে জিল্লুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করা হয়। শনিবার সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ঘটনার সময় খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই খোরশেদ হোসেন বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪ | সময়: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine