পবায় মোটরসাইকেল ও মোহরানার দাবিতে এক নারীর মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: পবায় যৌতুকের মোটরসাইকেল ও মোহরানার টাকা প্রাপ্তির দাবিতে ভুক্তভোগি স্ত্রী রাজশাহীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত পবাতে স্বামীসহ চারজনকে আসামী করে মামলা করেছেন।
মামলার আরজি থেকে জানা গেছে, পবা উপজেলার নওহাটা পুঠিয়াপাড়া গ্রামে বার বার যৌতুকের দাবি না মিটানোই তালাক দিয়েছেন এক গৃহবধূকে। এমনকি নির্যাতন করে ওই গৃহবধূর পেটের বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে। ২০০০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পবা উপজেলার বড়গাছীর মথুরা গ্রামের ভ্যানচালক আরশাদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সাথে নওহাটা পৌরসভার পূর্ব পুঠিয়াপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির ইসলামের বিয়ে হয়। যার রেজিস্ট্রি কাবিননামার মোহরানা ছিল এক টাকা কম পাঁচ লাখ টাকা। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক লোভি ওই পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এছাড়াও চারলাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। ভ্যানচালক বাবা মেয়ের সুখের জন্য জামাই সাব্বির ইসলামকে একলাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের এ্যাপাচি মোটরসাইকেল কিনে দেন। কয়েকদিন ভাল থাকার পরে আবারো শুরু হয় নির্যাতন।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী রাতে অন্তঃসত্বা সুমাইয়ার ওপর যৌতুকের দাবিতে আবারো স্বামী সাব্বিরসহ পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালায়। এতে সুমাইয়া ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমাইয়াকে ভর্তি করেন। ডাক্তারী পরীক্ষায় বাচ্চা নস্ট হলে সেখানেই এবোর্শন করা হয়। এত কিছুর পরও সুমাইয়া স্বামীর বাড়িতে সংসার করতে ফিরে যান। এরপর আবারো সুমাইয়ার ওপর নির্যাতনসহ যৌতুকের দাবি করে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন। যৌতুকের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হলে সুমাইয়াকে তালাক দেয় স্বামী সাব্বির ইসলাম। কিন্তু সাব্বির সুমাইয়ার বাবার দেয়া মোটরসাইকেল, মোহরানার টাকা এবং খোরপোষ বুঝিয়ে দেননি। শেষে সুমাইয়া বাবার দেয়া মোটরসাইকেল, মোহরানার টাকা এবং খোরপোষের দাবিতে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধিন।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ