বাঘা থেকে পাচারকৃত ৭০ বস্তা সার লালপুর থেকে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘা থেকে ভুটভুডি যোগে ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে পাচার হওয়া ৭০ বস্তা সার জব্দ করেছে লালপুর থানা পুলিশ। বুধবার সকালে গরিপুর এলাকা থেকে ঐ সার গুলো উদ্ধার করা হয়।পরে থানা পুলিশ ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমান্বয়ে জব্দকৃত সারগুলো বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট হস্তান্তর করেন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার চক ছাতারি গ্রামের সেকেন্দার আলী বুধবার(৭-সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার সময় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি সার-ডিলার মেসার্স লুৎফর ট্রের্ডাস থেকে ৩৫ বস্তা ইউরিয়া এবং ৩৫ বস্তা ডিএপি, মোট ৩.৫ মে:ট: সার নিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার অপর এক সার ব্যাসায়ী মাজদার আলীর দোকানে যাচ্ছিলেন।

এ সময় বিষয়টি লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনাত বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানা পুলিশকে অবগত করেন। অত:পর পুলিশ প্রশাসন দ্রুতার সাথে সারগুলো আটক করে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে নির্বাহী অফিসার বিকেলে ঐ সারগুলো বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতানের নিকট হস্তান্তর করেন।

পরে শফিউল্লাহ সুলতান বিষয়টি রাজশাহী জেলা প্রশাসক মহাদ্বয়কে অবগত করলে তিনি এ সংক্রান্তে থানায় অভিযোগ দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক ভুটভুডি চালক সেকেন্দার আলী ও সার ডিলার লুৎফর রহমানকে আসামী করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জারিন তাসলিম নিলয়।যার সত্যতা স্বীকার করেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য লুৎফর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছোট ভাই গোলাম রহমান দাবি করেছেন, ঐ সার তাদের দোকানের নয়। তারা চলতি সপ্তায় সরকারি বরাদ্দ মোতাবেক যে পরিমান সার ক্রয় করা সহ বিক্রয় করেছেন, তার স্টক মিলালেই সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অন্য কোন ডিলার তার ভাইকে ফাঁসানোর জন্য এই চক্রান্ত করেছেন ।