সিরাজগঞ্জ মেডিকেলের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

সানশাইন ডেস্ক: পিস্তলের গুলিতে ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক মো. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব দুর-রে-শাহ্ওয়াজের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. মো. রায়হান শরীফকে ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন।”
সোমবার বিকালে মেডিকেল কলেজে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে প্রভাষক রায়হান শরীফের পিস্তলের গুলিতে আহত হন আরাফাত আমিন তমাল। তিনি ওই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস অষ্টম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার পায়ে গুলি লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষক রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেয়; তার পিস্তলটিও জব্দ করা হয়। পরে তার কাছ থেকে আরেকটি বিদেশি পিস্তলসহ বেশ কিছু গুলি-অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক রায়হান শরীফ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে; শহরের দত্তবাড়ি মহল্লায় তিনি থাকেন। সোমবারের ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে আটকে রেখে কলেজ অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলেজ ক্যাম্পাস। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিক্ষক রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেয় এবং তার পিস্তলটি জব্দ করে। পরে জানানো হয়, পিস্তালটি অবৈধ।
রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা বগুড়ার ধুনট উপজেলার ধামাচামা গ্রামের আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেছেন। তমালের চার সহপাঠীকে সেখানে সাক্ষী করা হয়েছে। অবৈধ পিস্তল ব্যবহারের অভিযোগে ডিবির এসআই ওয়াদুদ আলী বাদী হয়ে রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেছেন, প্রভাষক রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতন এবং কলেজের ভেতরে নেশা করার অভিযোগও উঠেছে। সব বিষয়ই তদন্ত করা হবে।


প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪ | সময়: ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ