রাবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বই বিনিময় উৎসব

রাবি প্রতিনিধি:
প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হলো বই বিনিময় উৎসব। প্রায় আটশত বই নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজনটি। পাঠকরা তাদের পুরাতন বই দিয়ে নতুন বই নিতে পারছে এই উৎসব থেকে। ‘‘অদম্য ’১৯’’ এমন ব্যক্তিক্রমী আয়োজনে খুশি ক্যাম্পাসের পাঠক শ্রেণী। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের মুক্তমঞ্চে ‘পাঠকের দুয়ারে বই’ স্লোগানকে সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘‘অদম্য ’১৯” এ আয়োজন করে। যা চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

 

 

আয়োজকরা জানান, দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে প্রাথমিকভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। এর আগে ময়মনসিংহে তারা বই বিনিময় আয়োজন করেন। তারই ধারাবাহিক এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করেছেন এমন উৎসব। আগামী দুই মার্চে রাজশাহী কলেজে আয়োজন করবেন তাঁরা। বই বিনিময় করতে আসা পাঠকরা জানায়, নতুন বই না কিনেই নতুন বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে এই আয়োজন। এতে পাঠকের উপকারই হচ্ছে।

 

 

বই বিনিময় করতে আসা পাঠক ফিশারিজ বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তৌসিফ আহমেদ। তিনি বলেন, আমদের নতুন বই কিনে পড়া শেষে টেবিলেই পরে থাকে। সেগুলো আর কোনো কাজে আসে না। এই আয়োজনের মাধ্যমে তারা আমাদের একটা বই পরিবর্তন করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা পুরাতন বইগুলো দিয়ে নতুন যে বইগুলো পড়া হয়নি সেগুলো নিতে পারছি। এরকম আয়োজন যদি বার বার হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

 

 

বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক অদম্য ‘১৯ এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তায়েব মৃধা বলেন, আমাদের এই আয়োজনের পেছনের কারন হলো বইটাকে পাঠকের কাছে সহজলোভ্য করে তোলা এবং এই আয়োজন টাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমাদের এই বই বিনিময়ের ধারণাটা খুব বেশি পুরাতন না। এটা যদি আমরা ব্যাপকভাবে মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারি তাহলে বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেশের আটটি বিভাগে আয়োজন করতেছি। এর আগে ময়মনসিংহে আমরা আয়োজন করেছি। আজ রাবি ক্যাম্পাসে আয়োজন করেছি। আগামীকাল দুই তারিখ রাজশাহী কলেজে আমরা আয়োজন করবো।

 

 

এই আয়োজনে ‘‘অদম্য ’১৯’’ এর সঙ্গে স্থানীয় সহযোগী হিসেবে আছেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৫৫তম ব্যাচ। এই ব্যাচের শিক্ষার্থী সোয়েব উল হাসান বলেন, আমাদের মূল কনসেপ্টটা হচ্ছে বইয়ের বিনিময়ে বই। আমাদের বাসায় কমবেশি অনেক বই আছে যেগুলো আমরা পড়ে ফেলেছি সেগুলো আর পড়া হয় না। সেই পুরাতন বইগুলো যেন তাঁরা এখানে এসে বইয়ের মান এবং দামটা সমন্বয় করে অন্য একটা বই দিয়ে থাকি। এতে সবার মধ্যে যেন বই পড়ার একটা আগ্রহ বাড়ে।

 

প্রসঙ্গত, এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আছেন বই বাড়ী, সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন, সতীর্থ প্রকাশনা।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ | সময়: ৬:৪১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর