সীমান্তবর্তী বাঘায় জেঁকে বসেছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

নুরুজ্জামান,বাঘা : পোষকে শীতের রাজা বলা হলেও এবার অগ্রায়ণে রাজশাহী অঞ্চলে শীতের দেখা মিলেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত যারা বাইরে ঘোরা-ফেরা করছেন তাঁদেরকে গরম কাপড় পরতে লক্ষ করা যাচ্ছে। এদিক থেকে রাজশাহীর বাঘা সীমান্ত ঘেষা ও নদী তীরবর্তী উপজেলা হওয়ায় এখানে অনেকটা শীতের প্রকপ বেড়েছে। ফলে ফুটপাত সহ বড়-বড় শপিংমলে শীত বস্ত্রের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

আবহাওয়া আফিসের দেয়া তথ্য মতে, গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজশাহী অঞ্চলে শীতের আমেজ চলে আসে এবং মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এর প্রকপ আস্তে-আস্তে বাড়তে শুরু করে। এদিক থেকে রাজশাহীর সীমান্তঘেষা ও নদী তীরবর্তী দু’টি উপজেলা চারঘাট-বাঘা সহ অত্র অঞ্চলে শীতের প্রকপ এখন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। দিনে সুর্যের আলো থাকায় হালকা শীত মনে হলেও রাতে জেঁকে বসছে শীত। ফলে ফুট-পাত সহ বিভিন্ন সফিং মলে ভিড় বাড়ছে গরম পোশাক ক্রেতাদের। তবে রাত ৮ টা থেকে 9 টার মধ্যে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের সকল দোকান-পাট বন্ধ করে দিচ্ছেন শীতের পোকপ বৃদ্ধি পাওয়ায়।

চারঘাট-বাঘার একাধিক মানুষ জানান, সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় প্রচন্ড শীত অত্র দুই উপজেলায়। তবে বেশি কষ্ট পান বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে মানুষ। নদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ায় তারা শীতে থর-থর করে কাঁপতে থাকেন। এর ফলে পুরো উপজেলা ব্যাপী দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। অনেকেই আশংকা করছেন ,সামনে মাস থেকে শীতের প্রকপ আরো অনেক বাড়বে।

এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী মাজার ও শাহী মসজিদ এলাকায় অবস্থিত শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড। নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশা-পাশি মধ্য বিত্তবানরাও ছুটছেন উপজেলা শাহী মসজিদ গেট তথা তেঁতুল তলায় অবস্থিত (ফুটপাত) শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে। আর উচ্চ বিত্তরা ছুটছেন বড়-বড় সপিং কেন্দ্র-সহ শহরের বস্ত্র বিতান গুলোতে।

উপজেলার আমোদপুর গ্রামের মবারক হোসেন ,বারখাদিয়া গ্রামের সাজাহান আলী, সরের হাট এলাকার নাছিমা খাতুন ও পীরগাছা গ্রামের জামাল উদ্দিন বলেন, শীত বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে শীতবস্ত্রের দাম বেড়ে যায়। তাই এ বছর শীত মৌসুম শুরু হওয়া মাত্র তাঁরা গরম কাপড়ের দোকানে এসছিলেন। তাঁদের মতে, এই মুহুর্তে কাপড়ের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কেনা-কাটা করতে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তবে বড়-বড় শপিংমল এবং লেপ-তোশকের দোকানে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে গরম কাপক বেশি বিক্রী হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী মহল।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ | সময়: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ