শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহী ৬ চারঘাট-বাঘার এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রত্যেক নির্বাচনে একটা পক্ষ থাকে, যারা নৌকার বিরোধিতা করেন, এরা আবার নিজেদের আওয়ামী লীগ নেতাও দাবি করেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরা সবাই এক কাতারে জোট বেধে নৌকার বিরোধিতায় মাঠে নেমেছেন। এবার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সব আগাছা একসঙ্গে তুলে আওয়ামী লীগকে আগাছামুক্ত করা হবে। রবিবার বিকেলে বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এমনটি মন্তব্য করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতিপক্ষরা নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বলছেন, মন্ত্রী ভাল মানুষ। তার আশে পাশের লোকজন ভালো না। কিন্তু তারাই একসময় আশে-পাশে ছিল। এলাকার মানুষ জানে, আজ যারা বিরোধিতায় নেমেছে মেয়র হওয়ার আগে, চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ওরা কী ছিল? ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে তাদের জবাব দিতে হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর ৭৭ জন চলমান এমপিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এদিক থেকে আমি চতুর্থ বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একজন মানুষ কোন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। কারণ আমি স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা পছন্দ করি, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছে, বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা নেই। আমি তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে আপনাদের খেদমত করতে চাই। আমার বিরুদ্ধে এবছর যিনি মানোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তিনি এর আগেও দুবার খেলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি কথা মনে রাখবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। গত ১৫ বছরে বাঘা- চারঘাটে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে, স্বাধীনতার পর আর কখনও হয়নি। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। আর একটি কথা, আগামিতে সামাজিক ক্ষতিকারক দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্তদের কোন দলীয় পদ থাকবে না।
তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আমার দেখা ও জানা মতে, জাতির পিতার সকল গুনাবলী তাঁর কন্যার মাঝে আছে। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে একের পর এক দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। আপনারা পাশে থাকলে, আগামীতে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বাংলাদেশ বহির বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই ভোটউৎসবে তার সাথে ছিলেন, আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাধারণ সম্পাদক রিবন আহাম্মেদ বাপ্পি, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শামরুর ইসলাম ও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।