দাফন করা হলো দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া একই পরিবারের বাবা-ছেলে ও নাতনির

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি :

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় নাটোরের নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮.৩০ টায়।অন্য দিকে অটোরিকশা চালকের জানাজা সাড়ে ৮.৩০টায় অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮.৩০টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের ৪ জনের ৩ জন ইউনুস আলী, তার ছেলে লাবু হোসেন ও নাতনি শারমিন খাতুনের জানাজা নামাজ শেষে চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। জানাজা নামাজ পড়ান নিহত ইউনুস আলীর নাতি হাফেজ সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে একই পরিবারের ইউনুস আলীর মেয়ে পারভিন খাতুনকে বেলা ১০.৩০টায় স্বামীর বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার খিদির চাপিলা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

 

 

অপরদিকে নিহত সিএনজিচালিত আটোরিকশাচালক মোখলেসুর রহমানকে বেলা সাড়ে ১১টায় একই ইউনিয়নের মুকিমপুর গ্রামের গোরস্থান প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে গোরস্থানেই দাফন করা হয়।

 

এর আগে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চককান্তপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রাতেই পারভিন খাতুনের মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি চাপিলা নিয়ে যাওয়া হয়। এই দিকে নিহত পারভিন এর মেয়ে মোসা. জীম আক্তার এবার এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। মাকে হারানোর শোক যেন মানতে পারছেন না মেয়ে জীম ও তার একমাত্র ভাই জীসান(১২)। আরেক দিকে অটোরিকশাচালক মোখলেসুর রহমানকে মুকিমপুর গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল থেকেই নিহতদের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে ভীড় জমান স্থানীয় গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে৷ পুরো চককান্তপুর গ্রামের মানুষ সবাই মর্মাহত।

 

নিহত লাবু হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম নয় বছরের ছেলে নাছির ও দুই বছরের মেয়ে মাওয়াকে বুকে জড়িয়ে কান্না করছেন। মাঝে মাঝেই শোকে মুর্ছা যাচ্ছেন। বিলাপ করতে করতে নিহত লাবুর স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, তার শ্বশুর দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন পর পরই চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো।

 

শনিবার কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য শ্বশুরকে নিয়ে তার স্বামী লাবু,দেবরের মেয়ে শারমিন এবং ননদ পারভিন সিএনজি যোগে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা যায়, শ্বশুরের সঙ্গে তিনি স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পড়লেন।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩ | সময়: ৫:২৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর