সর্বশেষ সংবাদ :

পবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় ভারি বর্ষণে পানির নিচে দামকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। বুধবার রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হয়ে চলতে থাকে সারারাত। বৃহস্পতিবারও পুরোদমে চলে বৃষ্টি। এতে তলিয়ে যায় উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িঘর, ফসলের মাঠসহ রাস্তাঘাট। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার জনগণকে ডুবে থাকতে হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইউনিয়নের ভীমের ডাইং, আলোকছত্র, মুরালীপুর, জ্যোতরাবন গ্রামের মানুষের। এখানকার অনেক বাড়ি-ঘর জলের নিচে। তাদের বাস করতে হচ্ছে ব্যাঙ আর সাপের সাথে। আবার ভীমের ডাইং এর মজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের বাড়িও মাজা পানির নিচে। এছাড়াও ভেসে গেছে এলাকার মাছের ঘের।
জানা যায়, আংশিক বাড়ি-ঘর, রাস্তা, পাঁকা ও কাঁচা ধান, সবজিসহ ফসলাদির ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দামকুড়া ইউনিয়নের ভীমের ডাইং গ্রামের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের বাড়ি-ঘর পানিবন্দি হয়ে গেছে। ওই ওয়ার্ডের বিলে পাঁকা ধান ডুবে গেছে, সাথে সজবি ফসল কপি, মুলা, কালিকলাই, পটলসহ ভীমের ডাইং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি জমে আছে। এদিকে ভুমিহীনদের বাড়ি ডুবে যাওয়ায় তারা আশ্রয় নিয়েছে ওই স্কুলের শ্রেণিকক্ষে।
এব্যাপারে কৃষক মৃদুল, ইয়াদুল ও আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমাদের বাড়িসহ অনেকের ঘরে পানি জমে আছে। ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে। তারা পানি দ্রুত নিষ্কাশন না করা হলে পানিবাহিত রোগসহ বাড়ি-ঘর ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।’
দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ডুবে যাওয়া বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন। ডুবে যাওয়া বাড়ির হাস-মুরগী, গরু ছাগল নিয়ে বিপাকে অঅছেন তারা। তবে দ্রুত পানি নামলে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃক্ষকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ‘উপজেলার প্রায় সব জায়গায় পানি আমরা লক্ষ্য করেছি।’ ফসলাদির কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা আমরা এখনো নিরুপণ করতে পারিনি। তবে তদন্ত করে দেখছি। জানানো হবে।’ পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ