বিতর্ক পেছনে রেখে ফুরফুরে মেজাজে ভারতে গেলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার ফ্লাইটে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ জনের বাংলাদেশ দল ভারতে গেছে। আগামী ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। তার আগে অবশ্য দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সাকিবের দল।
তামিম ইকবালের বাদ পড়া নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্যে সয়লাব সামাজিক মাধ্যমগুলো। নির্বাচকরা জানিয়েছেন ইনজুরির কারণে তামিমকে নেওয়া হয়নি। কেউ কেউ এখানে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। তবে ‘আসল’ ঘটনা কেউই জানাচ্ছেন না। তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, সেই সব পেছনে ফেলে সামনে তাকাতে চান টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, ‘কথা হবেই। কেউ বাদ পড়বে, কেউ ঢুকবে। এটা আমাদের সময় হয়েছে। সবসময়ই ছিল। কিন্তু যেটা হয়ে গেছে, সেটা কালকে শেষ।’
গৌহাটিতে ২৯ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দল উড়াল দেবে হিমাচল প্রদেশে। সেখানে ধর্মশালা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে লাল সবুজের বিশ্বকাপ যাত্রা। একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ অক্টোবর ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের কাছে ঘোষিত দলটিই সেরা, ‘বাংলাদেশ যখন খেলে সারা দেশ খেলে। সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকে। অনেকে নামাজ পড়েন, দোয়া করেন। সেটাই থাকুক। আমাদের প্রতি বিশ্বাসটা থাকুক। অনেকে বলবে অনেক ছোট ছেলে যাচ্ছে। কিন্তু এদের ভালো করার সামর্থ্য আছে বলেই নির্বাচকরা ওদের নিয়েছে। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যে ১৫ জনকে নেওয়া হয়েছে, এরাই সেরা দল। এটাই মানতে হবে।’
ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘আস্থা রাখতে হবে। দেশবাসীকে এটাই বলবো। আমি মনে করি চমৎকার একটা ক্রিকেট টিম। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারুণ্য আছে। একটা কথা সিনিয়র খেলোয়াড়রাই বলছিল, এখন না পারলে কখন। আমিও মনে করি, এখন না পারলে কখন। এটাই আমাদের সেরা সময়।’
মূল দলের ১৫ জন ক্রিকেটার বিশ্বকাপে গেলেও স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটারদের নেওয়া হয়নি। নিজ খরচে তাদের ভারতে রাখার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। তবে একজন পেসারসহ দুজন ব্যাটারকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে ম্যানেজমেন্ট। তারা হলেন পেসার খালেদ আহমেদ এবং দুই ব্যাটার নাঈম শেখ ও শামীম হোসেন।
বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের ৬ ক্রিকেটার চার বছর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। সাকিব ও মুশফিকের সঙ্গে রয়েছেন লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবচেয়ে বেশি চারটি করে বিশ্বকাপ খেলেছেন সাকিব ও মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। দ্রুততম পেসার তাসকিন আহমেদ ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার রোমাঞ্চে ডুবে আছেন তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (সহঅধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব ও তানজিদ হাসান তামিম।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ | সময়: ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ