সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘায় ১৫ বছরে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় ৭শ কোটি টাকা

নুরুজ্জামান, বাঘা: রাজশাহীর-৬ চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় নানা মূখি উন্নয়ন অব্যহত রয়েছে। এরমধ্যে গত ১৫ বছরে কেবল বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) থেকে ৭ শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার মঞ্চে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম।
উপজেলা প্রকৌশলী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে বাঘার দুটি পৌর সভা, সাতটি ইউনিয়ন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন আফিস-সহ বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এরমধ্যে উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের মাধ্যমে রাস্তা-ঘাট নির্মান ও সংস্কার, কালভাট-ব্রিজ নির্মাণ, খাল খনন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে সরকারের ব্যায় হয়েছে ৭ শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমিহীন ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ১০টি বাড়ি নির্মাণ বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।
সরেজমিন এ সকল প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর মাধ্যমে যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার সবগুলোয় অত্যন্ত টিকসই। বিশেষ করে নতুন-নতুন রাস্তা এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের দৃশ্য একে বারেই বদলে দিয়েছে। আর এ সকল রাস্তা পেয়ে দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগে থাকা মানুষগুলো যেনো দেহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে।
লোকজন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি সাবস্টেশান চালু করায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন নির্মাণ এবং অজপাড়া গ্রামে ৩৪০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে। আর এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহারিয়ার আলমের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দক্ষতার কারনে।
তারা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতার কারণে এ অঞ্চলের লোকজন আবারও শাহরিয়ারকেই মূল্যায়ন করবে।
এসব উন্নয়নে বাঘার বিভিন্ন পরিবহন চালক, ব্যবসায়ী মহল ও কৃষকরা খুশি হয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা উপজেলার পদ্মানদী এলাকা এখন নান্দনিক স্পটে পরিনত হয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে সাড়ে ৭ শ কোটি টাকা ব্যায়ে চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর থেকে বাঘার কিশোপুর ঘাট পর্যন্ত ব্লক বাধায় ও নদী ডেজিং প্রকল্প চলমান।
এখন প্রতিদিন বিকেলে এলাকার শত-শত মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে প্রাকৃতিক সোন্দর্য উপভোগ কেেরত পদ্মার পাড়ে যান। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ঈশ্বরদী থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে বানেশ্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে (রাজশাহী) হাইওয়ে রাস্তা নির্মাণ সম্পুর্ণ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা বানিজের প্রসার বৃদ্ধি সহ তাদের জীবনমান একেবারে বদলে দিয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ শাহারিয়ার আলম বলেন, বাঘা-চারঘাটের তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে তিনি একের পর এক উন্নয়ন করে গেছেন। বর্তমানে এই দুই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সহ এমন একটি এলাকা খুজে পাওয়া যাবেনা, যেখানে পাকা রাস্তা কিংবা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। তার মতে, এ গুলোর সব কিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে।
তিনি বলেন, শুধু চারঘাট-বাঘা নয়, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছর সারা দেশব্যাপী যে উন্নয়ন করেছেন তা বিগত কোন সরকার করতে পারেনি। তিনি গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। আমরা যদি আগামীতে পুনঃরায় সরকার গঠন করতে পারি তাহলে এ সকল উন্নয়ন চলমান থাকবে এবং স্মাট বাংলাদেশ গড়া সহ জাতির পিতার সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ | সময়: ৫:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ