সর্বশেষ সংবাদ :

বৈধ শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ, তুলে দিলো প্রশাসন

রাবি প্রতিনিধি: ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ৩২৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরবর্তীতে হল প্রশাসন বৈধ শিক্ষার্থীকে আবার হলে তুলে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আ্যন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহতাব উদ্দীন। তিনি শহীদ শামছুজ্জোহা হলের ৩২৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন মোমিন ইসলাম। তিনি শহীদ শামছুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু অনুসারী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহতাব বলের, তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৫৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি হল প্রাধ্যক্ষ তাকে ৩২৬ নম্বর কক্ষ পুনরায় বরাদ্দ দেন। গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তিনি। হঠাৎ আজ দুপুরে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে বের করে দিয়ে ছাত্রলীগের আরেক নেতাকে কক্ষে তুলে দেন। এ সময় মাহতাবের বিছানাপত্রও বারান্দায় ফেলে দেন তারা।
ছাত্রলীগ নেতা মো: মোমিন ইসলাম বলেন,অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কাউকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়নি। হল প্রাধ্যক্ষ একজনকে বরাদ্দ দিতে গিয়ে কক্ষটি অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়েছেন। যাঁকে ওই কক্ষে ওঠানো হয়েছে, তাঁর আগে থেকেই আবাসিকতার কার্ড রয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। মাহতাবকে তার বরাদ্দ পাওয়া আসনে তুলে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ মীমাংসা করে দিয়েছেন।আমাদের একজন নেতা ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন। পরে তাঁকে নেমে যেতে বলা হয়েছে।’


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ | সময়: ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ