মিথ্যা মামলা ও অর্থ আত্মস্বাতের পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার:
মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা ও অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ফটোজাার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কর্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে ও ইউসুফ আলী ওয়াকফ এস্ট্রেট এর মোত্তয়াল্লী মসিউর রহমান মাসুদ। তিনি উল্লেখ করেন চলতি মাসের গত ২৫ তারিখ শুক্রবার ভোলাহাট থানায় তার ফুফাতো ভাই বেলাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা দায়ের করে যা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট।

 

 

 

তিনি বেলাল কে ২০১৮ সালে ১০ বছরের জন্য তার পুকুর লিজ দিয়েছিলেন। প্রায় ৫ বছর ধরে অত্র পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। এই ৫ বছরের মধ্যে লিজ দেওয়া পুকুরে তিনি একবারও যাননি। অথচ গত ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় ভোলাহাট থানার ওসি তাকে ফোন করে বলেন, বেলাল (যার নিকট পুকুর লিজ আছে) থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে লিজ দেওয়া পুকুরে তিনি বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছেন।

 

 

 

 

 

মাসুদ আরো উল্লেখ করেন গত বুধবার (২৩আগস্ট) হতে তিনি চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে তার মেয়ের বাসায় ছিলেন। এজন্য পরের দিন শুক্রবার তিনি বাড়িতে ফেরার পরে শুক্রবার বেলা ১১ দিকে ভোলাহাট থানার ওসির তিনি সাক্ষাৎ করেন । ওসির সাথে কথা বলে তিনি বলেন, দোষি হলে তিনি শাস্তি মাথা পেত নেবেন এবং মিথ্যা হলে তিন ক্ষতিপুরন দাবী করেন। পুকরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। মামলায় তারা আরো উল্লেখ করেন যে তার বাসায় টর্চার সেল রয়েছে। সে বিষয়ে সাংবাদিকরা পুরো বাড়ি ঘুরে দেখেন এবং টর্চার সেলের কোন অস্তিত্ব তারা খুজে না পেয়েও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। যা অত্যন্ত দু:খ জনক।

 

 

 

 

 

তিনি আরো উল্লেখ করেন তার ভাইয়েরা এটা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। বিকেল ৪ টার দিকে ওসি কন্সট্রেবল দিয়ে তাকে আবারও থানায় ডেকে নিয়ে বলেন যে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোন প্রমাণ ছাড়াই অসু¯’ শরীর নিয়ে তাকে থানা হাজতে সারা রাত আটকে রাখা হয় । পরের দিন চাপাইনবাবগঞ্জ কোট থেকে জামিনে বের মুক্ত হন তিনি। মিথ্যা ও ভিত্তিহিন মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বেলাল ব্যবসার উদ্দেশ্যে তিন দফায় শর্ত সাপেক্ষে তার নিকট থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেণ। যা ১০০ টাকার ৩ টি ননজুডিশিয়াল সরকারী স্ট্যাম্পে লিখত আছে। এই ঋণের টাকাটা মৌখিক ভাবে গত আমের মৌসুমে পরিশোধ করার কথা ছিল। ঋণের টাকাটা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে বেলাল তার বিরুদ্ধে জরিমানার মামলা দায়ের করেছে।
তিনি বলেন, তিনি যেখানে থাকেন সেটি ওয়াকফ সম্পত্তি। ঐ বাসাতে তার বাবা, দাদা ও দাদির কবর আছে। রয়েছে বাগান বাড়ি পশু পালনের জন্য গোয়াল ঘর এবং বসত বাড়ি। এখানে কোথাও কোন টর্চার সেল নেই। এই বাড়িটি তার বাবার হাতে তৈরী। বাড়িতে নতুন ভাবে কোন কিছুই সংযোজন করা হইনি। বসবাস উপযোগি রাখার জন্য শুধু মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। তার পরিবারের তার ফুপাতো ভাই বেলাল ও বেলদার, ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে হিরো ও তার আপন ছোট ভাই বরিশালে বসবাসকারী ইদ্রিস, ফুফাতো ভাইদের সথে যোগ সাজস করে এ বিষয়ে অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

 

 

 

 

 

এই রকমভাবে ইতিপূর্বেও মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তকে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার বাবা-দাদার ওসিয়ত মোতাবেক তিনি ইউসুফ আলী ওয়াকফ এস্ট্রেটএর মোত্তয়াল্লী। মোত্তয়াল্লী হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বেলাল তার স্বার্থ হাসিলের জন্য তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ট্রাস্টের অংশিদার সহ দলবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যেন তিনি ঐ ট্রাস্টের মোত্তয়াল্লী হিসেবে স্থায়ী থাকতে না পারেন এবং তাদের স্বার্থ হাসিল হয়।
ভিডিওতে বলা হচ্ছে যে তার বাসায় ৩০ টির অধিক সিসি ক্যামেরা আছে। ১৬ টি চ্যানেলের ডিভিআর এ কখনো ৩০ টি ক্যামেরা লাগানো যায়না। ১৬ টি ক্যামেরা বাসায় আছে যেটি লুকায়িত না এইটা সকলেই দেখতে পারবে। বড় বাসার নিরাপত্তার জন্য আজকাল সবাই ক্যামেরা ব্যাবহার করে। অংশিদারিত্বের জের ধরে এর আগেও তার বাসায় হামলা করা হয়। সিসি ক্যামেরা থাকায় তা ভিডিও ধারণ করতে পেরেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

 

 

 

 

ভিডিওতে আরও বলা হচ্ছে যে তিনি ক্যাডার বাহিনি পরিচালনা করেন। ক্যাডার বাহিনীর বাসায় কখনো অনলাইন রেকর্ড ক্যামেরা বসানো থাকে না। তিনি সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে আনিত আভিযোগ সমাজে বা থানায় এর পুর্বে উল্লেখ নেই। এটি পারিবারিক ষড়যন্ত্র। কারণ ভিডিও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত সাংবাদিক সম্মেলন ও আভিযোগকারী শুধু তার পারিবারের লোকজন ও বাসার ড্রাইভার কে দেখা গেছে। তিনি আরো বলেন, তারা পরিবারের সবাই নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন। এ থেকে তিনি প্রতিকার চান তিনি। সেইসাথে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, আল-মুকসিত রহমান রিত্তিক, নাসরিন আরা পারভিন ও মোমেনা বেগম।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৩ | সময়: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine