সর্বশেষ সংবাদ :

জাতীয় শ্রমিক লীগের স্মরণসভায় লিটন : বাংলাদেশের দরকার শেখ হাসিনাকে

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমরা এই শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে জনগণের রায়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসবো। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে প্রয়োজনে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে, ভোট চাইতে হবে। উন্নয়নের অনেক কাজ এখনো বাকি। যেগুলো শেষ করতে পারলে ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশে আমরা পরিণত হবো। সেই সুযোগ আমাদের রয়েছে, তার জন্য বাংলাদেশের দরকার শেখ হাসিনাকে, আর আওয়ামী লীগের মতো দেশপ্রেমিক দলকে।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা লিটন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। আরো বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান ও সঞ্চালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে, অস্থিরতা তৈরি করে, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, জ্বালাও পোড়াও করে, তারা আবার খুবই সক্রিয়। শুধু রাজপথে নয়, তারা ঘরেও সক্রিয়, বিদেশী দূতাবাসেও সক্রিয়। এই মুহুর্তে বিএনপির চারজন নেতা সিঙ্গাপুরে, চারজন একসঙ্গে অসুস্থ্য হয়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন, এটি মেনে নেওয়ার মতো না, এতো বোকা বাংলাদেশের মানুষ নয়। তারা সেখানে কোন দেনদরবার বা কোন দানখয়রাত যেটা পাবে, সেগুলো ঠিকঠাক করতে গেছেন, কত দিলে কত পাওয়া যাবে ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে গেছে। একই সঙ্গে দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের তারা বলে গেছেন, ফিরে এসে সরকার পতনের লাগাতার আন্দোলন করবেন। লাগাতার আন্দোলন প্রায় ৮/৯ বছর আগে দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যা এখনোই আলোর মুখ দেখেনি। এমন লাগাতার আন্দোলন দিয়ে আর যায় হোক, আওয়ামী লীগকে উপড়ানো সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, আওয়ামী লীগকে উপড়ানো তো দূরে কথা, একটি ডালও ভাঙ্গা সম্ভব না। ১৯৭৫ পরবর্তী চরম দুঃসময়েও আওয়ামী লীগ টিকে থেকেছে। দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে। এই আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা কখনোই সম্ভব নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, আতিকুর রহমান কালু, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ সহ জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর ও এর অন্তর্গত সকল ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩ | সময়: ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ