মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারায় মাছ চাষীরা দেশি বিদেশী মাছ রপ্তানী করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন। বর্তমানে এই খাতে প্রতিবছর ৭০০ কোটি টাকার বেশি আয় করছেন মৎস চাষী ও বিপনন কাজে জড়িতরা। এছাড়া মাছের হ্যাচরী থেকে শুরু করে মাছের উৎপাদন বিপনন ও পরিবহন পেশায় যুক্ত আছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
উপজেলা মৎস অফিস ও মাছ চাষী সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে পুকুর দিঘীতে মাছ চাষ করা কার্প ও মিশ্র প্রজাতির ২৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ বিক্রি করে গতবছর আয় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
স্থানীয় মৎস চাষীরা জানান, রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউস, সিলভার, ব্রিগেড, ব্লাডকার্প জাতের মাছ চাষ করা হয়। এছাড়া একই সঙ্গে প্রতিটি পুকুরে নিবিড় ও আধা নিবিড় দুই পদ্ধতিতে রুই, শিং, পাবদা, টেংরা সহ বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। এরমধ্যে মিশ্র প্রজাতির সুস্বাসু পাবদা, শিং, পাঙ্গাস মাছ ভারতে রপ্তানী করা হয়।
ভবানীগঞ্জের মৎস চাষী রহিদুল ও জব্বার জানান, তারা পোনা মাছ চাষ করেন না। ন্যূনতম আধা কেজির ওপরে কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া হয়। এসব মাছ ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে নূন্যতম তিন কেজি থেকে আট কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এসব মাছ তারা ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট সহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করে থাকেন।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ছোট বড় খাল বিল দিঘী পুকুর মিলে ১০ হাজার হেক্টর জলাসয়ে মাছ চাষ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্র ধরা হলেও প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার মেট্রিক টনের উপরে।
তিনি আরো বলেন এখানে স্থানীয় চাহিদা ৭ থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট মাছ বিভিন্ন জেলা সহ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও রপ্তানী হয়। তার মতে, বাগমারার মাটি, পানি সহ সার্বিক আবহাওয়া মাছ চাষের জন্য বেশ উপযোগি। তাই এখানে পরিকল্পনা মাফিক মাছ চাষ করতে আরো বেশি উৎপাদন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।