ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিদায় নিলেন প্রধান শিক্ষক

বদলগাছী প্রতিনিধি:
ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে চাকরি জীবনের শেষ দিনে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বিদায় নিয়েছেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভরট্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল আহমদ। আজ কর্মময় জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় নওগাঁ সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. নাসিম আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বালুভরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল এমরান হোসেন, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা ও মিজানুর রহমান,
নজিপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান হিরো,তেঁতুলিয়া বিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জাগোনিউজের সহকারি বার্তা সম্পাদক(কান্ট্রি এডিটর) আনোয়ার হোসেন ও বদলগাছী মহিলা কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢেকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশীদ, সমাজসেবক মজিদুল ইসলাম, শিক্ষক বায়েজীদ হোসেন’সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ। পরে বিদায়ী শিক্ষককে বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

বিদায়ী শিক্ষক মো. দুলাল আহমদ বলেন, ৩৬ বছর চাকরি করেছি। এসময়ের মধ্যে আমার কোন ধরনের ছুটির প্রয়োজন হয়নি। শিক্ষার্থীদের সবসময় পড়াশুনার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছি। পরিশেষে কর্মময় জীবনে কোন ধরনের ভুলক্রুটি করে থাকলে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বাঁকী জীবন পরিবার-পরিজন নিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে যেন অতিবাহিত করতে পারি সবার কাছে দোয়া কামনা করছি। আমার চাকরি জীবনের শেষ দিনে সুন্দর আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় হবে যা ছিল কল্পনাতিত।

শিক্ষক মো. দুলাল আহমদ নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেন মন্ডল এর ছেলে। তিনি ১৯৮৭ সালে ৪ অক্টোবর চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তিনি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। কর্মময় জীবনে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা দিয়েছেন। যারা বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসা ও রাজনীতিতে দেশ ও জাতির জন্য অবদান রেখেছে। শেষে বিদ্যালয় থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে স্ত্রী-সন্তানসহ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সানশাইন/সোহরাব