রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাজারে নিত্যপণ্যে বাজারদর পূর্বের উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। রাজশাহীর বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা এবং মুরগির ডিম (লাল) ৪৪-৪৬ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন ও সরবরাহের বড় কোনো সংকট না থাকলে বাজারের আগের দামেই সব বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে মাছের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। মাছের বাজারে সাইজ,মান ও সময়ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কম বেশি দেখা গেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সবই স্থিতিশীল দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে বিক্রির সময় ওজনে কম দেয়া, ভেজাল বন্ধ ও পুষ্টির মান বজায় রাখতে ৩১শে জুলাইয়ের পর বাজারে আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তবে সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়ার অল্প কিছু দোকানে এখনো খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার মহানগরীর সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়া কাঁচা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৫০ টাকা,খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০- ১১০০টাকা, দামে ঊর্দ্ধমূখি ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা এবং সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৬০-২৭০ টাকা,সাদা লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ টাকা, মোরগ প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁস প্রতি কেজি ৩৬০-৩৮০ টাকা,রাঁজহাস ৫০০-৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির ডিম (সাদা) ৩৮-৪০ এবং দামে ঊর্দ্ধমূখি মুরগির ডিম (লাল) ৪৪-৪৬ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
মহানগরীর সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়া কাঁচা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কার্ডিরাল আলু প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা এবং আদা প্রতি কেজি ১৫০-১৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচ আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি ১৩০-১৫০ টাকায় এবং পেঁয়াজ দেশি প্রতি কেজি ৬০-৬৫টাকা,পেঁয়াজ আমদানিকৃত ৩০-৩৫টাকা কেজি দরে টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আকার অনুসারে কাঁচা পেপে প্রতি কেজি ৩৫-৪০টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৩৫টাকা, জালি লাউ আকার অনুসারে প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা,মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, ঢেড়স প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা,ধুন্দোল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি (বড়) ৩৫-৪০টাকা, করলা (ছোট) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচাকলা ২০-২৪ টাকা হালি, শসা আকার অনুসারে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা,বরবটি প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা,কাঁকরোল প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা,মূলা প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, আমড়া প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা,তাল প্রতি পিস ৩০ টাকা, কচু প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৩০-৩৫টাকা, লেবু প্রতি হালি জাত অনুসারে ১২-১৬ টাকা,গাজর প্রতি কেজি ১৩০-১৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ২৭০-২৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ১০০ টাকা, লাল শাক প্রতি আঁটি (২৫০ গ্রাম) ২০-২৫ টাকা,কাটোয়া ডাটা প্রতি আঁটি (২৫০ গ্রাম) ২০-২৫ টাকা,কলমি শাক প্রতি আঁটি (২৫০ গ্রাম) ১০-১৫ টাকা,পুঁই শাক প্রতি আঁটি ১৫-২০টাকা,
বাজারে মসুর ডাল দেশি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা,বুট ডাল (বড়) প্রতি কেজি ৮০-৮৫ টাকা,দেশি বুট ডাল ৮৫-৯০ টাকা, মুগ ডাল (বড়) প্রতি কেজি ১০০-১৩০ টাকা,সোনামুগ ডাল প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা,গোটা মটর ৬০-৬৫ টাকা,কলাইয়ের ডাল প্রতি কেজি ১৩০-১৮০ টাকা,খেসারির ডাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা,এংঙ্কর ডাল প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, অড়হরের ডাল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অন্যদিকে অল্প কিছু দোকানে খোলা সয়াবিন ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা বিক্রি প্রতি কেজি হচ্ছে ৫২ টাকা,ময়দা প্রতি কেজি ৫২ টাকা,লবণ প্রতি কেজি ৪০টাকা।চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় চিনিগুড়া চাল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা,কালোজিরা আতপ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা,কাঁটারি আতপ প্রতি কেজি ৯০,সিদ্ধ কাঁটারিভোগ চাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা,মিনিকেট প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা,বি আর২৮ চাল প্রতি কেজি ৬৫-৬৮ টাকা,,বালাম চাল প্রতি কেজি ৭৫-৮০ টাকা,সিদ্ধ বাসমতি প্রতি কেজি ৮০-৮৫ টাকা,দাদখানি চাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা,নাজিরশাল চাল প্রতি কেজি ৮০-৮৫ টাকা,জিরাশাল চাল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা,আউশ চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছের দাম স্থিতিশীল নয়; সাইজ,মান ও সময়ভেদে দাম কম বেশি দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাঙাশ মাছের সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা,কাতলা প্রতি কেজি ৩২০-৩৫০ টাকা,রুই প্রতি কেজি ২৭০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৪০-২৫০ টাকা,পাবদা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০-২৬০ টাকা,শিং প্রতি কেজি ২৯০-৩০০ টাকা, দেশি টেংরা প্রতি কেজি ৮০০-৯৫০ টাকা,মৃগেল মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা,পিউলি প্রতি কেজি ৬০০-৭০০টাকা,সিলভার কাপ আকার অনুসারে প্রতিকেজি ১৪০-১৮০ টাকা,দেশি পুঁটি প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০টাকা,শোল প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০টাকা,মৃগেল প্রতি কেজি ২০০-২৫০টাকা,লাইলনটিকা প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকা,রূপচান্দা মাছ প্রতি কেজি ১১০০-১২০০ টাকা,ইলিশ আকার অনুসারে ৯০০,১২০০,২২০০,২৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারে বিক্রেতার কাছে মাছ কিনতে এসেছেন নগরীর হাঁতেম খা’র নিবাসী শিক্ষার্থী তমাল হক। তিনি বলেন, ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের দাম অনেক বেশি, তাই অন্য মাছ কিনতে এসেছেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩ | সময়: ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ