এমপি আয়েন’র উদ্যেগে পবায় স্বাবলম্বী হয়েছে অসচ্ছল নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী

পবা পতিনিধি:

পবা ও মোহনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী- ৩ সংসদীয় আসন। রাজশাহী মহানগরীর চারিদিকে বেষ্টিত পবা উপজেলা। উপজেলার সীমানা পর্যাআলোচনা করলে দেখতে পাওয়া যায় উত্তরে মোহনপুর ও তানোর উপজেলা , দক্ষিণ সীমান্তে চারঘাট, পূর্বে পুঠিয়া এবং পশ্চিমে গোদাগাড়ী উপজেলা। ৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায় ৩৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে এই উপজেলায় বসবাস করে ৩ লক্ষ্য ১৪ হাজার ১৯৬ জন ।

 

 

এই আসনে ৫ ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হোন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন । তিনি এই অঞ্চলের দায়িত্বে আসার পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা। ২০১৪ সাল থেকে বর্তমানে ২০২৩ সাল এই দীর্ঘ ৯ বছরে পবা উপজেলায় উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হয়েছে। এমপি আয়েন উদ্দিনের সার্বিক সহযোগীতায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বর্তমান সরকারের গৃহীত উন্নয়নের পদক্ষেপগুলো। তার সময়ে পবা উপজেলায় অস”ছল নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বী হয়েছে।

 

 

 

পবা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে ,২০২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দ্রে উপজেলায় ১৪ হাজার ৬ শো ৪৩ জন অসহায় নারীদের মাঝে ৩০ কেজি করে প্যাকেটজাত চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৪৩ জন নারীদের ও দৈনিক দিনমজুর / রিকশা/ অটোরিকশা/ ভ্যানচালকদের/ কৃষি শ্রমিক / কামার/ কুলি / ধোপা/ নাপিত /মৎস্যজীবি / গৃহকর্মী যাদের নিয়মিত আয় নেই গর্ভবতী নারীদের মাঝে প্রতি মাসে আটশত টাকা তাদের ব্যাাক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে। উপজেলায় ১ হাজার ৭ শো ৭৫ জনের অসহায় নারীদের মাঝে কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার তহবিল কর্মসূচির মাধ্যমে তাদেরকেও তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রতি মাসে আটশত টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।

 

 

 

 

দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৪ হাজার ৬ শো ৪৩ জনের মাঝে চুক্তিবদ্ধ এনজিও এর মাধ্যমে আয়বর্ধক ও সচেতনমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান ও তাদর কে প্রতি মাসে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪৬ জন কে যারা অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, যারা শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে, যারা নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করেছে আর যারা সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছে তাদেরকে প্রতিবছর ৯ ই ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে পাচঁ টি ক্যাটাগরিতে জীবন সংগ্রামে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় আইজিএ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি ট্রেডে ৪১৯ জন নারীদের মাঝে ফ্যাশান ডিজাইন , ক্রিষ্ট্রাল শো-পীচ ও ডেকোরেটর ক্যান্ডেল মেকিং তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 

 

প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় কিশোর-কিশোরী ক্লাবস্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগীত, আবৃত্তি, বয়োসন্ধি:কালের পরিবর্তন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সহ অন্যন্য সচেতনামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে নারীদের সৃজনশীলতা বৃৃদ্ধি পেয়েছে।
পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নের মালেকা বেগম নামের এক উপকারভোগীর সাথে কথা বললে তিনি জানান উপজেলার এই সকল কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগে তিনি মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করতেন আর বর্তমান সময়ে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে উপজেলা থেকে একটি সেলাই মেশিনও পেয়েছেন। সেই মেশিন দিয়ে তিনি কাজ করে তার সংসারের ব্যায় মিটিয়ে তার দুইটি মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগান দিচ্ছেন।

 

 

 

 

উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের সুফিয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যখন ৬ মাসের অন্তসর্ত্তা তখন আমার দরিদ্র স্বামী সংসারের ব্যায় মিটিয়ে আমার জন্য পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করতে পারতো না। কিন্তু সরকার থেকে যখন আমি আবেদন করলাম তখন আমাকে প্রতি মাসে আমার গর্ভের সন্তানের জন্য কিছু সম্মানী দিতো যা দিয়ে আমার অনেক উপকার হতো। পূববর্তী সময়ে আরো অনেক সরকার এবং জনপ্রতিনিধি ছিলো কিন্তু কেউ আমাদের কথা ভাবতো না। আমাদের এমপি মহোদয় তিনি অনেক সময় নিজে এসে আমাদের খোজঁ খবর নিয়েছে। তাই আমরা উনার প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও উপজেলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবন মান উন্নয়নে প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌরসভা এলাকায় তাদের বসতি পূর্ণ সংস্কার করে দেওয়া, তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। পবা উপজেলা হড়গ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণ টুডু নামের একজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন , আগে আমাদের নির্দিষ্ট কোন ঘর ছিলো না। আমরা এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে অন্যের জায়গায় থাকতাম। আজকে আমাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা একটা স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছি। সেই জন্য সরকার কে এবং আমাদের এমপি মহোদয় কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

 

 

 

 

 

উপকারভোগী নারায়ণ কর্মকার নামের একজনের সাথে বললে তিনি বলেন , আমার নিজস্ব একটি ঘর হয়েছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। যা কয়েকবছর আগে আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না। আমাদের এই নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের এমপি আয়েন উদ্দিন কে আমাদের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

 

 

 

 

 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী-৩ (পবা -মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য বলেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার সহযোগিতায় আমার পবা মোহনপুরে আমি চেষ্টা করেছি সব্বোর্চ উন্নয়ন করার। সামনে নির্বাচন আসছে আমি আবারো সবার কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছি তাহলে ভবিষ্যতে এলাকার আরো উন্নয়ন হবে ।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৩ | সময়: ১১:৫১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine