সর্বশেষ সংবাদ :

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৫ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নামে নিবন্ধন নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ৩৫ হাজার গ্রাহকের আমানতের ১০৫ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ওই এনজিও’র কর্মচারী ও ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।  ঘন্টা ব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী
গ্রাহক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেলশাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইমুল হক, নইমুদ্দিন, সলেহা বেগম, আকলিমা বেগম, লতিফা খাতুন, কর্মচারী পলি বেগম। এ সময় মানববন্ধনে প্রায় হাজারের অধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, স্থানীয় সমাজ সেবা ও সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে অধিক মুনাফার লোভসহ বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বিনিয়গের নামে হাতিয়ে নেয়। ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ মোট ১০৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর মধুমতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা ইচ্ছেকৃতভাবে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে মধুমতি গ্রুপের অন্যান্য পরিচালকরা আত্মগোপন করেন।

আটকের পর মাসুদ জেল থেকে প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের পুরো লেনদেন এবং দৈনিক হিসাব-নিকাশের অনলাইন সার্ভার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত ৫ মাস থেকে লাভ প্রদানসহ আমানতের টাকা ফেরত দেয়া বন্ধ রয়েছে। অথচ জনগণের টাকা নিয়ে মাসুদ রানা ও তার পরিবারের স্বজনরা টাকার পাহাড় গড়েছে। তার আটকের পর থেকেই পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। জেলার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট-বাড়িসহ সম্পদ গড়েছেন।

 

বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ০৯ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন করে ইউএনও মহোদয়কে অভিযোগ দিলেও কোন সমাধান পায়নি। এনিয়ে ভুক্তভোগী ৩৫ হাজার পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তার হস্তক্ষেপ কামনা করি এবং আমাদের টাকা ফেরতের দাবি জানায়।

 

মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বারবার স্মারকলিপি প্রদান করেন মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি-এমআরএ’র অনুমোদন ছাড়া কোন ধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম পরিচালনা অবৈধ। মধুমতির বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে মামলা চলমান আছে। আমরা তার সকল সম্পদ পর্যালোচনা করে গ্রাহকদের জামানতের অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা করছি।


প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine