আত্রাইয়ের  ভোঁপাড়া  উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল র্কাযক্রম পুনরায় চালু করার দাবী এলাকাবাসীর

আত্রাই, প্রতিনিধি:

উত্তর জনপদে এক সময়ে গরীবের হাসপাতাল নামে খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজলোর ভোঁপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন বহুবিধ সমস্যার ফলে সকল র্কাযক্রম বন্ধ আছে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় চিকিৎস্যা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। আশির দশকে উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের এই গ্রাম ও তার আশপাশের অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডের র্অথায়নে স্থাপন করা হয় এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।র্বতমানে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জরার্জীণ অবস্থায় পরিণত হয়েছ। ফলে এই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোঁপাড়া, শিমুলিয়া, তেঘর ও তিলাবদুর গ্রামসহ আশেপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ফলে এলাকাবাসীর দাবি এই অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কথা ভেবে তাদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারিভাবে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নতুন করে পরিচালনা করা হোক।

 

 

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশির দশকে স্থাপন করা হয় এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বেতন ও ঔষধসহ সকল সুযোগ সুবিধা চলতো নেদারল্যান্ডের র্অথায়নে। স্থাপনের পর থেকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে আর কোন সংস্কার কিংবা বা মেরামতের ছোঁয়া র্স্পশ না করায় র্বতমানে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিজেই রোগীতে পরিণত হয়েছে। অনেক বছর আগেই ভবন হয়েছে পরিত্যক্ত। দাপ্তরিক ভাবে বন্ধ আছে এই কেন্দ্রের সকল র্কাযক্রম। কোর্য়াটারগুলো পড়ে আছে জরার্জীণ হয়ে। তবুও জীবনরে ঝুঁকি নিয়ে আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্তরা মাঝে মাঝে সেখানে যান দেখভাল করতে।নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এখানে কোন প্রকারের চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। তদারকির অভাবে র্বতমানে স্থানীয়রা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করছেন। গবাদিপশুর খড় পালা দিয়ে দখলে রেখেছে তারা। ভেঙ্গে পড়ছে ভবনগুলোর দেয়াল ও দরজা-জানালা। কিন্তুু একসময় এলাকার লোকজন পেত সকল চিকিৎসা সেবা। লোকজন, ডাক্তার ও র্কমর্কতায় ভরপুর থাকতো এই চিকৎসা কেন্দ্রটিতে। কোর্য়াটারে থাকতো র্কমর্কতা র্কমচারীরা। এখন আর কেউ থাকে না। তবে জরার্জীণ একটা কোর্য়াটারে এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন আক্তারুন নামের এক নারী। সহায় সম্বলহীন হওয়ায় তিনি এক যুগ ধরে এখানে থাকেন। অবশ্য অল্প কিছু দিনের মধ্যে তিনিও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে উঠবেন।

 

 

 

 

 

মাসে মাসে ৮ থেকে ১০ জন করে এসে মিটিং করে যায় এমনটাই বললেন ৬০ বছরের লাইলী নামের এক নারীসহ কয়েকজন নারী পুরুষ। তারা বলেন, এখানে চলতো রমরমা চিকিৎসা সেবা। গত কয়েক বছর আগে থেকে এই হাসপাতালের র্কাযক্রম বন্ধ আছ।চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত মান্নান ও যাত্রামূল এলাকার মনোয়ারা মারা যাবার পর থেকে এখানে আর কেউ আসেনা নিয়মিত। তবে মাসে মাসে টাকা দেওয়ার র্কাযক্রম আছে।রানা নামের এক স্বাস্থ্যর্কমী এসে দিয়ে যায়। এছাড়া আরেক নারী জানালেন, এখানে আমরা চিকিৎসা সেবা নিয়েছি, আমার ছেলেপোলারাও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। কিন্তি এখন আর আমরা কেউ চিকিৎসা সেবা পাইনা। তাই সরকাররে কাছে দাবি এই অঞ্চলের খেটে-খাওয়া মানুষদের ২৪ঘন্টা চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন ভবন নির্মাণ করে র্পযাপ্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে সরকারিভাবে পরিচালনা করা হোক। যাতে আমরা সব সময় সকল প্রকারের চিকিৎসা সেবা এই কেন্দ্র থেকে পেতে পারি।

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৩ | সময়: ৮:১২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine