বাঘা পৌর নির্বাচনের মাঠে গণসংযোগে এগিয়ে মামুন, পিন্টু , কামাল

নুরুজ্জামান,বাঘা : আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষনার পর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন এবং মোটর সাইকেল সোডাউন-সহ গণসংযোগ করে যাচ্ছেন অনেকে। তবে এখন পর্যন্ত প্রচারনায় এগিয়ে রয়েছেন মামুন, পিন্টু ও কামাল ।

সরেজমিন লক্ষ্য করা গেছে, বাঘা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মেয়র পদে নির্বাচন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে ভোট চাওয়া সহ পাড়া-মহল্লায় প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করে চলেছেন বাঘা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও চলমান বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু এবং বাঘা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন।

তবে নির্বাচন করার ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত মাঠে নামেননি হ্যাবি ওয়েটধারী বাঘার দুই নেতা আমানুল হাসান দুদু ও আশরাফুল ইসলাম বাবুল। তাঁরা মনে করছেন , দল তাঁদের দু’জনের যে কাওকে দলীয় মনোনয়ন দিতে পারে। অত:পর দলীয় মনোনয়ন পেলে তাঁরা গনসংযোগে নামবেন। এর বাইরে যারা গনসংযোগ করছেন তারা হলেন- সাবেক মেয়র ও আ’লীগ নেতা আক্কাস আলী, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা ও বাঘা পৌর জামাতের আমীর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

বাঘা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন বলেন, আমি গত পৌর নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের নিকট দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলাম। কিন্ত আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সর্বশেষ এবারও চেয়েছি। অনেকেই আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রচারণায় নেমেছি।

অন্যদিকে শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, আমি গত পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ছিলাম। এরপর সকল কাউন্সিলরদের ভোটে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হয়। আমি চলমান প্যানেল মেয়র। আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি গত ৫ বছর কাওকে হয়রানি করিনি। আমার কাছে কেও কিছু চেয়ে ফিরে গেছে এ রকম নজির নেই। আমার বিশ্বাস দল যদি আমাকে নৌকা দেয় তাহলে এই নৌকাকে কেউ উল্টাতে পারবে না।

অপর দিকে পৌর বিএনপি’র সভাপতি কামাল হোনের বলেন, আমি গত নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন চেয়ে ছিলাম। দলের হায় কমান্ডের নির্দেশে চলমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাকে সিনিয়র হিসাবে ছাড় দিয়ে তাঁর পক্ষে ভোট করে তাঁকে বিজয়ী করেছি। এবার তিন ভোট করবেন না। পূর্ব থেকে এমন সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। সেই লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে আমি মনোনয়ন উত্তোলন সহ প্রচারনায় নেমেছি। আমার সাথে অনেক নেতা-কর্মী রয়েছেন। যদি ফেয়ার ভোট হয় তাহলে আমি নির্বাচিত হব ইনশাল্লা।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মজিবুল আলম জানান, এ পৌর সভায় মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১ ডিসেম্বর, বাছাই ৩ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ১০ ডিসেম্বর এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে মেয়র এবং কাউন্সিলর মিলে প্রায় দুই ডজন নেতা-কর্মী মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন ।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২ | সময়: ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন

আরও খবর