‘ভুল শুধরে সাফে টিকে থাকতে চাই’

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রস্তুতির সময়ে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায়, পরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় লেবানন ম্যাচের দুঃসহ সেই ’১০ মিনিট’ ভুলে থাকার তাড়না ফুটে উঠল স্পষ্ট। কিন্তু চাইলেই তো আর সবকিছু মুহূর্তেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়, সোহেল রানাও পারলেন না। যদিও ঘুরেফিরে বললেন, লেবানন ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে পেতে চান জয়। টিকে থাকতে চান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আগামী রোববার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে আসর শুরু করে তারা, ভূটানের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জয় পায় মালদ্বীপ। স্বাভাবিকভাবে লড়াইয়ে নামার আগে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মালদ্বীপ ম্যাচ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছে ‘ফাইনাল।’ মিডফিল্ডার সোহেলও সুর মেলালেন অধিনায়কের সাথে। যেকোনো মূল্যে মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার প্রত্যয় ঝরল তার কণ্ঠে।
“প্রথম ম্যাচে আমাদের যারা প্রতিপক্ষ ছিল (লেবানন), তারা শারীরিক দিক থেকে বলুন, স্কিলের দিক থেকে বলুন, আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল, আমরা খুব ভালোভাবে শুরু করেছিলাম, কখনও আমাদের মনে হয়নি, ম্যাচটা আমরা হারব। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা একটা গোল হজম করে বসলাম। তবে এটা খেলারই অংশ। আশা করি, এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পরের ম্যাচ খেলতে নামব।”
“প্রথম ম্যাচটা আমরা ভুলে যেতে চাই, দ্বিতীয় ম্যাচটাতেই এখন আমাদের পুরো মনোযোগ। কেননা, এটাই বলতে গেলে আমাদের জন্য এখন ফাইনাল। টুর্নামেন্টে যদি আমরা টিকে থাকতে চাই, তাহলে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি যে করেই হোক আমাদের জিততে হবে।”
মালদ্বীপের বিপক্ষে সবশেষ মুখোমুখির স্মৃতি বাংলাদেশের জন্য হতাশার। গত বছর মার্চে মালেতে হওয়া সেই প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল দল। কিন্তু এবার জয়ের প্রশ্নে দারুণ আত্মবিশ্বাসী সোহেল। এতটা আত্মবিশ্বাসের কারণও শক্তিশালী লেবাননকে ৮০ মিনিট আটকে রাখতে পারার তৃপ্তি। ওই ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে পড়ে থাকতে চান না এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
“আমরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হেরে গেছি। ফলে যেটা হয় (টিম বন্ডিংয়ে চিড় ধরে)ৃতো টিম বন্ডিংয়ে ঠিক রাখব আমরা। ওটাই মূল উদ্দেশ্য এখন। কাউকে দোষারোপ করার দিকে সময় দিচ্ছি না, আমাদের মূল মনোযোগ কীভাবে এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো ফল করতে পারি। কোচ বলেছে, সবকিছু ইতিবাচক আছে, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, যেভাবে আছি, আমরা ভালো কিছুই করতে পারব।”
“দলে যারা আছে, তারা সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে চায়। চেষ্টা করে। আমিও ওটাই চাই, যেন ভালো কিছু করতে পারি। দলকে সাপোর্ট দিতে পারি। মালদ্বীপের বিপক্ষে ভালো একটা ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আছি আমরা। প্রতিটি খেলোয়াড়ই ম্যাচটি জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।”
লেবাননের বিপক্ষে প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেললেও প্রতিপক্ষের অ্যাটাকিং থার্ডে ফরোয়ার্ডদের উপস্থিতি ছিল না তেমন একটা। সুমন রেজা, রাকিব হোসেন, রবিউল হাসানরা পারেননি লেবাননের রক্ষণে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে। সেরা সুযোগ এসেছিল ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের সামনে। কিন্তু গোলরক্ষকের গায়ে মেরে তা নষ্ট করেন তিনি। মালদ্বীপ ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্যাক লাইনে ফরোয়ার্ডের মুভমেন্ট আরও বেশি দেখতে চান সোহেল। এ নিয়ে বলতে গিয়েও লেবানন ম্যাচের হারের হতাশার প্রসঙ্গও টানলেন তিনি!
“(প্রতিপক্ষের রক্ষণে) দ্রুত মুভমেন্টটা হচ্ছে না আমাদের ৃদল হিসেবে আমরা খুব চেষ্টা করেছি, একটা সময় আমাদের মনে হয়েছে ম্যাচটা আমরা জিততেৃওই গোলগুলো হলে বা যাই হোকৃহারব যে, সেটা কখনও আমাদের মাথায় আসেনি। তারপরও বলব, দল ভালো খেলেছে।


প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ