পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চারঘাট-বাঘায় বদলে গেছে গ্রামীন জনপদ

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় বর্তমান সরকার আমলে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল একেবারে নাজুক। পিছিয়ে পড়েছিল দুই উপজেলা। এ দিক থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এবং বিদেশী দাতা সংস্থার মাধ্যমে গত ১৪ বছরে বদলেছে দুই উপজেলার দৃশ্যপট । ফলে ভিন্নমাত্রা এসেছে গ্রামীন জনপদে। বেড়েছে মানুষের জীবন যাত্রার মান ও কর্মসংস্থান । লোকজন মনে করছেন, এ সকল উন্নয় সম্ভব হয়েছে মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ শাহরিয়ার আলমের একান্ত প্রচেষ্টায় ।

স্থানীয় লোকজন জানান, উন্নয়নের হিসেব করতে গেলে বর্তমান সরকারের একটানা ১৪ বছরে রাজশাহী-৬ আসনের চারঘাট উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা এছাড়াও বাঘায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা এবং দুই উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে অসংখ্য রাস্তাঘাট, কালভাট-ব্রীজ ,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজের অত্যাধনিক ভবন, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন,ফায়ার টেশান স্থাপন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ অটি চালু , মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন , আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নির্মান, নারী এবং যুবকদের কর্মসংস্থান, চর উন্নয়ন, জল মটারের মাধ্যমে সুপ্রিয় পানির ব্যবস্থা, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ফাকা রাস্তায় সৌর স্টিক স্থাপন, কৃষি-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, নদী ড্রেজিং এর পাশাপাশি ব্লক নির্মান, বানেশ্বর থেকে ঈশরদী পর্যন্ত ডাবল লেনের রাস্তা এবং মন্ত্রীর নিজেস্ব অর্থায়নে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মান, বাঘায় দু’টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার ভবন নির্মানের জন্য জমি ক্রয়-সহ অসংখ্য অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

এ ছাড়াও সম্প্রতি রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা পৌর সভাকে UGP-4 প্রকল্পের আওতায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে । স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এ প্রকল্পের অনুমোদন করিয়েছেন । এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাঁর ফেসবুক পেইজে আশা প্রকাশ করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই দুই পৌরসভা বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে না , বরং অনেক এগিয়ে থাকবে। এ জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, বর্তমান সরকার আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই । এ দিক থেকে রাজশাহীর বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ শাহরিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় নানা মূখি উন্নয়ন হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এসেছে অমলুক পরিবর্তন। এ উপজেলায় শিক্ষিত তরুন উদ্যোক্তারা বিদেশী ধান সহ হরেক রকম ফলের চাষ করছে। পাশা-পাশি মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় গত কয়েক বছর থেকে দেশ বিখ্যাত বাঘার আম, পেয়ারা ও বরই বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। একই কথা বলেন চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও নির্বাহী অফিসার।

চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক জানান, বর্তমান সরকার আমলে দেশী এবং বিদেশী অর্থায়নে পৌর এলাকায় ব্যপক উন্নয়ন হচ্ছে। সর্বশেষ UGP-4 নামে যে প্রকল্প পাওয়া গেছে তার ৬০ ভাগ অর্থ দাতা বিদেশী সংস্থা এবং ৪০ ভাগ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর। আমি আসা করছি, এই বৃহত প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর এলাকায় নানা মুখি উন্নয়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে এই পৌর সভাকে স্মাট পৌর সভা হিসাবে গড়ে তুলবো।

এ সব উন্নয়ন নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ শাহারিয়ার আলম বলেন, বাঘা-চারঘাট এর তৃণমূল লোকজনের চাহিদা বিবেচনা করে এলাকায় উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগীতায় শুধু বাঘা-চারঘাট নয়, বৃহত্তর রাজশাহীতেও ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামি জাতীয় নির্বাচনে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি তবে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে ।