সর্বশেষ সংবাদ :

খায়রুজ্জামান লিটনের কার্যক্রম : রাজশাহীকে খরা হতে বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে জলাশয় সংরক্ষণ প্রকল্প 

শাহ্জাদা মিলন
বাংলাদেশের অন্যতম খরা অঞ্চল হিসেবে রাজশাহী এগিয়ে রয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত এ জনভূমিতে গরমের তীব্রতা অনেক বেশি। দিনদিন পুকুরের সংখ্যা কমে আসছে। যদিও জলাশয় রক্ষার্থে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন করা হয়েছে যারা জলাশয় ভরাট করবে তাদের দন্ড প্রদান করা হবে।

 

শহরকে মরুর হাত থেকে রক্ষা ও এই জলাশয়গুলো সংরক্ষণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্দেশক্রমে ২৬ নং ওয়ার্ডে ভদ্রার পদ্মা পারিজাত লেক, ১৫ নং ওয়ার্ডে সপুরায় মঠপুকুর, ২৩ নং ওয়ার্ডে কালী পুকুর জলাশয় সংরক্ষনের জন্য চারিদিকে সীমানা প্রাচির নির্মাণসহ সৌন্দর্য্য বর্ধন করে ওয়াকওয়ে বা হাটার জায়গা এবং বসার স্থান করা হয়। এতে বিকেলে প্রাকৃতিক পরিবেশে সাধারন মানুষরা বিনোদনের জায়গা যেমন পেয়েছে অপরদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এই জলাশয়গুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও জলাশয় গুলোর আশেপাশে আগুন লাগলে সেখান থেকে পানি ব্যবহারের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। পরিবেশে ও ব্যক্তি মানুষের সম্পত্তি রক্ষায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখবে সংরক্ষণ করা পুকুর ও লেকগুলো।

 

একইভাবে সপুরা গোরস্থান, দড়িখরবোনা ও পবা নতুনপাড়ার( ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে) ৩টিন জলাশয়ের প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫,২৫,৬৪,০০০ টাকা। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের বিপরীতে ১নং ওয়ার্ডে গুলজারবাগ নুরুর ঢালান লেক খনন,প্রতিরক্ষা সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,২৪,৭৯,০০০ টাকা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও জলাশয় রক্ষার্থে ২৩ নং ওয়ার্ডে টিকা পাড়া গোর¯’ানের জলাশয় খনন ও ৪নং বুলনপুর ঈদগাহের পাশে প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। এই দুটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,৩৪,৮৫,০০০ টাকা।

 

 

৬নং ওয়ার্ডে বক্ষব্যাধী হাসপাতালের জলাশয় খনন, প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধক বেঞ্চ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ এবং শিশু হাসপাতালের সামনের পুকুর প্রতিরক্ষা মূলক সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্য বর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। এই দুই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩,৪৯,২৫,৮১৬ টাকা। মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন পুকুরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

 

 

সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এই জলাশয় সংরক্ষণ প্রকল্পের ফলে রাজশাহীর পরিবেশ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক রয়েছে। বিনোদনের ও সড়কে চলাচলরত মানুষের এবং পরিবার নিয়ে বসার কিছটা জায়গা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন,রাজশাহী শহর দ্রুত বর্ধনশীল শহরে পরিনত হচ্ছে। কৃষি জমি কমে আসছে বহুতল ভবনে ঢেকে যাচ্ছে পুরো শহর। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরী জলাধার সংরক্ষণ ও বনায়ন। এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাহেব বিষয়টি বুঝতে পেরে কিছু জলাধার অর্থাৎ পুকুর ও লেক সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন যা নি:সন্দেহে খুব ভালো উদ্যোগ ছিল।

 

 

এর সাথে আমি আরেকটু যোগ করতে চাই বাইরের উন্নত দেশগুলোতে আমি দেখেছি কিছু কিছু লেক শহরের ভেতরের বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছে। নতুন নতুন যে সব এলাকায় বসতবাড়ি গড়ে উঠছে কৃষি জমির জায়গায় সেখানে এরকম লেক তৈরি করা যেতে পারে। এটি পরিবেশে ভারসাম্যর ঠিক রাখবে তেমনি শহরে বিনোদনের নতুন জায়গা তৈরি করবে তাই বিষয়টি সম্পর্কিক যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের অনুরোধ থাকবে ভেবে দেখার জন্য। এছাড়া যে কয়েকটি জলাধার টিকে আছে কোনভাবে ভূমিদস্যুদের কবলে না পড়ে সেজন্য সংরক্ষণ করার দাবি জানান তিনি।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩ | সময়: ৬:২৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine