অহঙ্কারের একুশে

সানশাইন ডেস্ক : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি…’
বিখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা গানটিই বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেয় একুশের চেতনা। সেই চেতনা আমরা ধারণ করি অন্তরে, জীবনযাপনেও। এমনকি তরুণ প্রজন্মের পোশাকেও ফুটে ওঠে বিশেষ দিনের অনুভূতি। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে এক অসীম তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাÑ যা আমাদের সার্বিক জাগরণের উৎস।
একুশের চেতনা কখনো প্রত্যক্ষ, কখনো পরোক্ষভাবে অনুপ্রেরণা হয়ে আমাদের মনে জাগিয়ে তোলে অনির্বাণ শিখা। একুশের চেতনা নিয়ে লেখক, সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালিদ ফেরদৌস বলেন, ১৯৪৭ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্ভব হয়, তখন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার উন্মেষ তৈরি হয়। এর প্রতিফলন আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হলো বাঙালি হিসেবে আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের একটি মাপকাঠি। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের দেশের ছেলেদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত মাতৃভাষাই প্রমাণ করে দেয়, আমরাও পারি। আর সেই অনুপ্রেরণা থেকেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার প্রত্যয়টি চলে আসে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ বপন করেছিল। তাই বাঙালি সংঘবদ্ধ হয়ে পশ্চিমের শাসন রুখতে পেরেছিলেন। এটিই একুশ ও বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের চেতনা।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ | সময়: ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ