রাসিক নির্বাচন : লিটনের উন্নয়নের বাতাস নৌকার পালে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরজুড়ে অসংখ্য উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান। পরিচ্ছন্ন নগরীর মনোহর রূপ মন কাড়ে সবারই। নানান বাহারি ফুল শোভা পাচ্ছে নগরীর রাস্তাগুলোর বিভাজনে। প্রশস্ত রাস্তার দুই পাশে সবুজের সমাহার। উন্নয়ন দিয়ে মন জয় করে নেয়া মানুষের নাম হচ্ছে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মেয়র লিটনের উন্নয়ন কাজের নাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশের পরিমন্ডল ছাড়িয়ে বিদেশেও। আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিন্দন্দ্বিতা করছেন সাবেক মেয়র লিটন। ২১ জুন নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই সাবেক মেয়র লিটনের পাল্লা ভারি হচ্ছে। উন্নয়নের সুবাতাস লেগেছে সাবেক মেয়র লিটনের প্রতিক নৌকার পালে।
গত পাঁচ বছরে মহানগরীতে অসংখ্য উন্নয়ন করেছেন সাবেক মেয়র লিটন। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গ্যাস পাইপলাইন সংযোগ, আলোকায়ন, উচ্চ বহুতল ভবন নির্মাণ, পদ্মার পাড় সুসজ্জিতকরণ, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র করা থেকে শুরু করে যে সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। রাজশাহী মহানগরী হিসেবে বিশ্বাবাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।
সাবেক মেয়রের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাজশাহী মহানগরীতে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে আরো ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়ার পরিকল্পনা করেছেন লিটন।
নগরীর বিমান চত্বর থেকে বিহাস পর্যন্ত নতুন চার লেন সড়ক, তালাইমারি থেকে আলুপট্টি পর্যন্ত চার লেন সড়ক, বিলসিমলা রেলক্রসিং মোড় থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক, ভদ্রা রেলক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চার লেন সড়ক, বিলসিমলা থেকে সিটি হাট পর্যন্ত চার লেন সড়ক করা হয়েছে। আগামীর রাজশাহী মহানগরীর কথা মাথায় রেখে সাবেক মেয়র লিটন রাস্তাগুলোতে করেছেন প্রশস্ত।
নগরীর বুধপাড়া এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, সপুরা থেকে পোস্টাল একাডেমি পর্যন্ত সড়ক, সাগরপাড়া বটতলা মোড় থেকে রুয়েটের সীমানা প্রাচীর, উপশহর মালোপাড়া-রাণীবাজার সড়ক, মণিচত্বর থেকে জাদুঘর মোড় সড়ক, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কসংলগ্ন সড়কসহ পদ্মাপাড়জুড়ে যোগাযোগ ও সৌন্দর্যবর্ধনে যে কাজ হয়েছে। নগরীতে বিকেএসপি আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, হাইটেক পার্ক গড়ে উঠেছে। শিল্পনগরী-২ ও আধুনিক নভোথিয়েটারের কাজও শেষের দিকে।
বসবাসের জন্য গত পাঁচ বছরে রাজশাহী মহানগর যেভাবে যোগ্য শহরে রূপান্তরিত হয়েছে তা শহরের জমির দাম বৃদ্ধির দিকে চোখ দেখলেই বোঝা যায়। আশেপাশের জেলা শহরগুলোর মানুষ বসবাসের জন্য রাজশাহী মহানগরীকেই বেছে নিতে শুরু করেছে। গত ৫ বছরে রাজশাহী মহানগরীতে জমির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ গুণের বেশি।
রাজশাহী মহানগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার জাফর বলেছেন, গত ৫ বছরে রাজশাহীতে যতো উন্নয়ন হয়েছে তা আমি জন্ম থেকে এ পর্যন্ত দেখিনি। মতের পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু উন্নয়নের প্রশ্নে উত্তর একটাই আসবে তা হলো লিটন। সাবেক মেয়র লিটনের কোন বিকল্প নেই।
নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার কামারুজ্জামান বলেন, গত পাঁচ বছরের রাজশাহীর ওলি-গলিতেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এভাবে যদি আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে রাজশাহীবাসী অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে খুব সহজেই স্বাবলম্বি হতে পারবে।
সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী। রাজশাহী মহানগরীকে ঘিরে আমি স্বপ্ন দেখি। আমি চাই রাজশাহী মহানগরীকে মডেল শহর করতে। আগামীতে আমার পরিকল্পনায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করার চিন্তা মাথায় আছে। এছাড়া আগামীতে নির্বাচিত হলে আমি কর্মসংস্থানের উপরে জোর দিতে চাই। এবার কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন হবে ইনশাল্লাহ। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে ছোট ছোট কারখানা হবে। বড় ব্যবসা-বাণিজ্য ভারতের সঙ্গে হতে পারে। ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে উভয় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি।
প্রথম পর্যায়ে ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর সুলতানগঞ্জ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত। এটি হলে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল দেশে আসবে, আবার আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন মালামাল ভারতে যাবে। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।


প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩ | সময়: ৬:২০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ