সর্বশেষ সংবাদ :

ইতালি নেয়ার কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে যুবকের কাছে মুক্তিপন দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘার সুমন আলী নামে এক যুবককে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নেওয়া হয় হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে। সেখান থেকে একটি অভ্যান্তরিণ বিমানে নেওয়া হয় চট্রগাম। সেখান পৌছার পর একটি মাইক্রোবাসে তুলে এক বাসা বাড়িতে নিয়ে তার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এমন প্রতারণার ঘটনায় রবিবার রাজশাহীর বাঘা থানায় এমনটি অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার সুমনের ভাই সুজন আলী। সুমন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের আকাল আলীর ছেলে বলে জানা গেছে ।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াহিদ আলীর মাধ্যমে আবদুর রহিম নামে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে সুমন আলীর পরিচয় হয়। তারপর সে সুমনকে ইতালিতে পাঠানোর জন্য আগ্রহী করে তুলেন। তার কথামতো ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রায় তিন মাস আগে আবদুর রহিমের সঙ্গে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয় সুমনের। চুক্তি মোতাবেক তার প্রয়োজনী কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।
সর্বশেষ শনিবার তার ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তাকে চুক্তি অনুযায়ী তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সুমন আলীর বড় ভাই সুজন আলী বলেন, ইতালি যাবে বলে আমার ছোট ভাইকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠে আমার ভাই। এরপর ওই বিমানটি চলে যায় চট্রগ্রাম। সেখান থেকে আবদুর রহিমের লোকজন একটি মাইক্রোসাবে তুলে সুমনকে একটি বাসা বাড়িতে নিয়ে অবরুদ্ধ করে বলে, তুমি ইতালি পৌছে গেছ। এখন বাড়িতে মোবাইল করে পাঁচলাখ টাকা চাও। নিরুপায় হয়ে সুমন তার ভাইয়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে এবং টাকা চায়। সে একথাও বলে যে, টাকা না পাঠালো ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। নিরুপায় হয়ে সুমনের বড়ভাই সুজন আলী এ বিষয়ে বাঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। এরপর সুমনকে উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একটি টিম ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।


প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ