অক্টোবরের আগে তফসিল নয়: সিইসি

সানশাইন ডেস্ক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে তা স্পষ্ট করে না জানালেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিুল আউয়াল বলেছেন, অক্টোবরের আগে তারা তফসিল দিচ্ছেন না। রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এখনও জানি না। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়নি, সিদ্ধান্ত হয়নি। অক্টোবরের আগে তফসিল দেওয়া সম্ভব না।”
সাংবাবিধানিকভাবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেক্ষেত্রে ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথা অনুযায়ী, ভোটের তারিখের আগে ৪০-৪৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহারের সময় ও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের জন্য সময় রাখা হয়।
প্রচারণার জন্যে সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ, মনোনয়নপত্র জমায় ১০-১৫ দিন, বাছাই ৪ দিন, আপিল নিষ্পত্তি ৪-৭ দিন, প্রত্যাহারের সময় ৭ দিন সময়ও দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার পর তফসিল চূড়ান্ত করে। গত ১১টি সংসদ তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন জমা থেকে ভোটের তারিখ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪২ দিন এবং সর্বোচ্চ ৭৮ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, কবে তফসিল দিতে হবে– এমন কোনো বিষয় নির্বাচনী আইন নেই। “তফসিলের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই। তফসিল আমি তিন মাস আগেও দিতে পারি, চার মাস আগেও দিতে পারি। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের দিনটা ইমপর্টেন্ট।ৃ নির্বাচনের ব্যাপারে আইন আছে কখন নির্বাচন হতে হয়, ৯০ দিনের মধ্যে। তফসিল কবে দিতে হয় এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা নেই।”
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন সিইসি। তিনি বলেন, “ভোট ডিসেম্বরের লাস্ট উইকের আগে সম্ভব না। এটা তো আমাদের প্ল্যানে (রোডম্যাপে) বলে দেওয়া আছে। ডিসেম্বরের লাস্ট উইক অথবা জানুয়ারির ফার্স্ট উইক। ওই জিনিসটাই গুরুত্বপূর্ণ। তফসিল আজ করলাম, না কাল করলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচনটা কবে হবে।”
সিইসি বলেন, তফসিল কবে হতে পারে সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় হবে। সেটা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও হতে পারে। সাধারণত ৫০ দিন, ৬০ দিন আগে তফসিল হয়। সবশেষ নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর ও ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর।
এবার ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট করতে গেলে নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনের ক্ষণগণণা শুরুর পরপরই ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ও সবশেষ প্রস্তুতি অবগত করে প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি রয়েছে। এরপর কমিশন বসে ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে।


প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩ | সময়: ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ