তাড়াশের মাঠে এখন ধান কাটার ব্যস্ততা

তাড়াশ প্রতিনিধ: শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সব জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ধানের বাম্পার ফলনে এবং ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা বেজায় খুশি। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে তাড়াশ বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৩৬০ হেক্টর। আর চাষ হয়েছে হয়েছে ২২ হাজার ৪৪৮ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে নতুন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। আবার বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নওগাঁর হাট, বারুহাস, রানীরহাট, তালম, দেশীগ্রাম, কাটাগাড়ীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন কাঁচা ধান ব্রি-৯০, প্রতি মণ ২ হাজার ২ হাজার ৫শত টাকা, সুবললতা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ব্রি-৮৯ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬শ, টাকা, ব্রি-২৮ জাতের ধান ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন আমন ধান কাটা শুরু হলেও হাট-বাজারগুলোতে চালের বাজারে এর প্রভাব নেই।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী গ্রামের তোফায়েল ইসলাম জানান, এবছর আমাদের এখানে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল জাতে ধান কাটা শুরু করেছি। অন্য বছরের তুলনায় এবারে ধানের ফলন বেশি হওয়ায় আমরা সুখের মুখ দেখছি। হাট-বাজারে ধানে দামও ভালো। এবার ধান বিক্রি করে শুধু খরচই না, বেশ লাভও হচ্ছে। এছাড়া খড়ের দামও অনেক। খড় বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধানের বাম্পর ফলন ও ভলো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকেরা আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।