স্টার্লিং-ক্যাম্পারের সেঞ্চুরিতে আইরিশদের ৪৯২

স্পোর্টস ডেস্ক: যার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি, সেই লর্কান টাকার আউট হয়ে গেলেন দিনের চতুর্থ বলেই। তবে পল স্টার্লিং ও কার্টিস ক্যাম্পার উপহার দিলেন দুর্দান্ত শতক। আয়ারল্যান্ড গড়ল রানের পাহাড়। দিমুথ করুনারত্নে ও নিশান মাদুশকার ব্যাটে শ্রীলঙ্কাও পেয়ে গেল শক্ত ভিত।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ড থামে ৪৯২ রানে। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের সময় শ্রীলঙ্কার রান বিনা উইকেটে ৮১। এখনও তারা পিছিয়ে ৪১১ রানে। নিজেদের ৬ টেস্টে এই প্রথম চারশ ছুঁতে পারল আইরিশরা। অভিষেক টেস্টের ৩৩৯ ছিল দলটির আগের সর্বোচ্চ। প্রথম ৫ টেস্টে তাদের সেঞ্চুরি ছিল দুটি, এবার এক ম্যাচেই হয়ে গেল দুটি।
পায়ে ক্র্যাম্প করায় আগের দিন ৭৪ রানে মাঠ ছাড়া স্টার্লিং দ্বিতীয় দিনে ফিরে ১৮১ বলে করেন ১০৩ রান। চার টেস্টের ক্যারিয়ারে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। দিনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম অবশ্য ক্যাম্পার। আগের তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৯। সেই তিনি এবার ২২৯ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ১১১ রানের অসাধারণ ইনিংস। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কার প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৫ উইকেট নেন ১৭৪ রান দিয়ে। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবার এই স্বাদ পেলেন বাঁহাতি স্পিনার। গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের ৩১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারে টাকারকে বোল্ড করে দেন বিশ্ব ফার্নান্দো। আগের দিনের ৭৮ রানের সঙ্গে এই ব্যাটসম্যান যোগ করতে পারেন ২।
তার বিদায়ের পরই ফের উইকেটে যান স্টার্লিং। এ দিনও উইকেট ছিল যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক। ক্যাম্পারের সঙ্গে স্টার্লিং গড়েন ৬৪ রানের জুটি। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরপরই অবশ্য আসিথা ফার্নান্দোর শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ক্যাম্পার এরপর ৮৯ রানের বড় জুটি গড়েন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে সঙ্গে নিয়ে। ৯৯ থেকে আসিথাকে চার মেরে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি।
ম্যাকব্রাইন ৫৯ বলে করেন ৩৫ রান। ক্যাম্পারসহ শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন জয়াসুরিয়া। জবাবে ১৮.১ ওভার ব্যাটিং করে আইরিশ বোলারদের তেমন কোনো সুযোগ দেননি করুনারত্নে ও মাদুশকা। অধিনায়ক করুনারত্নে ৪৫ বলে ৩৯ ও মাদুশকা ৬৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩ | সময়: ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ