নিয়ামতপুরের নাকইল গ্রামে নিজ ভূমিতে নির্মান কাজে বাধা দেওয়ার  অভিযোগ

নিয়ামতপুর প্রতিনিধিঃ
আমাকে বার বার হয়রানী করার জন্যই বার বার মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে। আমি আমার নিজ জমিতে সীমানা প্রাচীরের কাজ করছি। অথচ প্রশাসন এসে বাধা দিচ্ছে। দিচ্ছে আমার চাকুরী হারানোর হুমকি। আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যে অভিযোগ যে ব্যক্তি করছে, সে নিজেই সরকারী সম্পত্তি দখল করে বসবাস করছে দীর্ঘদিন যাবত। প্রশাসনের সে দিকে কোন নজর নেই। এমনটাই অভিযোগের সূরে বলছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নাকইল দক্ষিনপাড়ার মৃত- আলহাজ্ব সোলেমান আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নাকইল মৌজার ১০১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৪১৬ দাগে একই গ্রামের আলহাজ্ব সালেমান আলী ৪৭ বছর যাবত ৪৭ কাঠা সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। সোলেমান আলীর মৃত্যুর পর তার চার ছেলে পাকা রাস্তার ধারে ঐ সম্পত্তি ভোগ দখল করে আছে। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর সোলেমান আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে প্রতিবেশী জালাল উদ্দিন বাধা দেয়। এবং উপজেলা ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। জালাল উদ্দিন নিজেই সরকারী সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছে।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, আমার বাড়ীর সামনের রাস্তার উত্তর পার্শ্বে আমার বাবার ৪৭ কাঠা সম্পত্তি রয়েছে। নাকইল মৌজার খতিয়ান নম্বর ১০১, দাগ নং-১৪১৬। ৪৪ বছর যাবত আমার বাবা ও পরে ওয়ারিশসূত্রে আমরা চার ভাই উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি। আমার প্রতিবেশী ইসমাইল হোসনের ছেলে জালাল উদ্দিন আমার জায়গার সামনে রাস্তার পার্শ্বে রাস্তার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। আস্তে আস্তে আমার জায়গাও দখলের চেষ্টা করছে। তাই আমার সম্পত্তি রক্ষার্থে একটি সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে জালাল উপজেলা ভূমি অফিসে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করে।

 

 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথি সরেজমিনে তদন্ত করেন। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোন রির্পোট পাই নাই। নির্মান কাজও বন্ধ রাখতে বলেছে। আমার জায়গায় আমি কাজ করবো প্রশাসন কেন বাধা দিবে। আর আমার জায়গার সামনের সরকারী জায়গাতো অন্য কেউ দখল করতে পাবে না। আমাকে প্রতি নিয়ত মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী তো করেই ক্ষান্ত হয়নি। সম্প্রতি জালাল ও তার স্ত্রী আমার, আমার ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ছিনতাই ও মারামারির মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। যা সঠিক তদন্ত করলেই জানতে পারবেন।

 

 

সেলিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জালাল নিজেই সরকারী সম্পত্তি দখল করে বসবাস করছে, আমার সম্পত্তির সামনে খড়ের পালা দিয়ে দখল করে রেখে। অথচ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ এক বছর যাবত উপজেলা ভূমি অফিসে বিচারাধীন রয়েছে। সম্পত্তি এ মাসের ১৩ তারিখে আমরা ভূমি অফিসে গেলে জালাল উদ্দিন ও তার কিছু ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনেই আমার ও আমার ভাই এর উপর হামলা চালায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তারপরেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাছি রাস্তা কাগজে ৪৮ ফিট থাকলেও পাকাকরণ করা হয়েছে ১০ফিট। বাকী রাস্তার জায়গা দখলমুক্ত করে সবার জন্য উম্মুক্ত করা হোক। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ট্রেনিং এর কাজে ব্যস্ত থাকায় মতামত গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৩ | সময়: ৪:১১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর