ভারতের সঙ্গে নৌ-রুট স্থাপনে গুরুত্ব লিটনের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর উন্নয়নগুলো এখন দৃশ্যমান। প্রশস্ত রাস্তা, সবুজ ঘেরা পরিচ্ছন্ন নগরী, বড় বড় স্থাপনা, নতুন পার্ক স্থাপন, আগেরগুলো রিমডেলিং করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। রাজশাহী মহানগরীর এমন সফলতা এসেছে বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরে। তবে এবার মেয়র লিটনের পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান। তাই রাজশাহীর অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে নৌরুট চালুর প্রতি নজর দিয়েছেন মেয়র লিটন।
২০১৯ সালে রাজশাহীর উন্নয়নে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পায় মেয়র লিটন। সেই প্রকল্পের এক হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীতে আরো দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ হবে। পাশাপাশি আরো ৩ হাজার কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ আনার পরিকল্পনা আছে মেয়র লিটনের। এসব অর্থ দিয়ে রাজশাহীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে ও হতেই থাকবে। তবে এবার মেয়র লিটন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে মনযোগী দিচ্ছেন। তার তা হলো কর্মসংস্থান। আর তার জন্য প্রয়োজন রাজশাহীর অর্থনীতিকে গতিশীল করে তোলা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই মেয়র লিটন এবার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন পদ্মায় নৌরুটের দিকে। যে নৌরুট প্রতিবেশী দেশ ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। যা অপরদিকে দেশের রাজধানী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পদ্মা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ধূলিয়ান হতে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এটি চালু পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। এরমধ্যে রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে গতিশীল হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এই নৌরুট চালু হলে বিশাল কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে যাবে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এ নৌরুট ঘিরে।
নগরীর সপুরা এলাকার আসাদ জানান, নৌরুট চালু করতে পারলে রাজশাহীর অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগবে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য স্থাপন করতে সুবিধা হবে এ অঞ্চলের মানুষের। বিশেষ করে কৃষি পণ্যগুলো রপ্তানিতে সুবিধা পাবে এ অঞ্চলের মানুষ।
তিনি আরো বলেন, এ অঞ্চলের আম, টমেটো, আলু, ধানসহ প্রচুর কৃষি পণ্যের চাষ হয়। কিন্তু সুযোগের অভাবে প্রান্তিক কৃষকরা এর দাম পায় না। নৌরুট চালু হলে এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করতে পারবে। তাতেই অসংখ্য কর্মসংস্থানের তৈরি হবে। পাশের দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ আরো সুবিধা হবে। এতে পাশের দেশের সঙ্গে রাজশাহীর মানুষে খুব সহজেই বাণিজ্যের সুযোগ পাবে।
কর্মসংস্থান নিয়ে রাসিক মেয়র আরো কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এরমধ্যে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ। রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস চালু করা। বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। এ কাজগুলো দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই শেষ হবে। তা হলে রাজশাহী একটি কর্মচাঞ্চল্য শহরে রূপ নিবে।


প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩ | সময়: ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ