মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের ফ্লাইওভার সংলগ্ন পুলিশ ফাড়ির কাছেই এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে সন্দেহভাজন ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ আল জাহেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ও বিভাগের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লাইওভার সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন জাহেদ। এ সময় পাঁচ-সাতজন ছিনতাইকারী তাঁর পথ রোধ করে। পরে তারা মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দিতে বলে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে পেছন থেকে একজন ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁরা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাহেদ চিৎকার করলেও পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসেননি। এরপর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুলিশ বক্সের সামনে আসেন। তারপর পুলিশ সদস্যরা রিক্সাযোগে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পাঠান। পরে ভুক্তভোগীর অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। নিয়মানুযায়ী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মামলা করতে হয়। তবে শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। দুপুর একটার দিকে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ও বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শহীদ ইকবাল প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবেন, এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।