সর্বশেষ সংবাদ :

চার দিনের ব্যবধানে ১শ টাকার মরিচ ১৬০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহী অঞ্চলে কাঁচা-মরিচের উৎপাদন হিসেব করতে গেলে প্রথমে নাম শোনা যেত বগুড়ার। কিন্তু এখন শুধু বগুড়াতে নয়, জেলার বাঘা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া সহ তাহেরপুর অঞ্চলে বানিজ্যিক ভাবে মরিচ চাষাবাদ হচ্ছে। তবে দির্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় এবার মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ১শ’ টাকার মরিচ দামে বেড়ে এখন খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। ফলে বিপারে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
সরেজমিন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় রাজশাহীর বাঘায় এবছর সব চেয়ে বেশি কাঁচা মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা অল্প সময়ে চাষাবাদ করে বেশি লাভবান হওয়ার কারনে মূলত কাঁচা মরিচ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তবে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে এবার কাঁচা মরিচের দাম পর্যায় ক্রমে বেড়ে চলেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, মরিচ চাষাবাদের জন্য আলাদা করে স্থান (জমি) জাচাই-বাছাই করতে হয় না। এ অঞ্চলের সমতল এলাকার কৃষকরা হলুদ কিংবা আম বাগানের ফাঁকে-ফাঁকে কাঁচা মরিচ চাষ করলে তাতেও বাম্পার উৎপাদন হয়ে থাকে।
অপরদিকে উপজেলার বৃহত্তর পদ্মার চারাঞ্চলে পলিমাটি পড়ার কারণে গত কয়েক বছর ধরে সেখানেও অন্যান্য ফসলের ন্যায় ব্যাপক হারে মরিচ উৎপাদন হচ্ছে।
বাঘা হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন ও মানিক মিঞা জানান, আমরা গত এক সপ্তাহ আগেও কৃষকদের কাছ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনেছি। তবে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এখন উৎপান একে বারেই কমে গেছে।
এ কারণে কেনা বেশি পড়ায় দামও বেশি নিতে হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, শুক্রবার সকালে কাঁচা মরিচের পাইকারি বাজার ছিলো ১৫০ টাকা। এরপর খুচরা বিক্রেতারা তাদের কাছ থেকে কিনে এই মরিচ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবার বাঘায় মরিচ চাষ ভাল হয়েছে।
তার মতে, উপজেলার সমতল এলাকায় যে পরিমান মরিজ চাষ হচ্ছে তার চেয়েও অধিক চাষ হচ্ছে চরাঞ্চলে। তবে এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে বাজারে মরিচের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি হলে এই সংকট থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ