হ্যাচারিতে হাঁসের ডিমের সঙ্কট

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় হাঁসের ডিমের চড়া দাম হওয়ায় হাহাকারে পড়েছে তাড়াশ উপজেলার হ্যাচারির মালিকেরা। যেখানে প্রত্যেক বছর খোলা বাজারে ডিম ক্রয় বিক্রয় করা হতো ১০ থেকে ১১ টাকা করে আর এবছরের খোলা বাজারে ডিম বিক্রয় করা হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। হাসের ডিম বিক্রয় করা হচ্ছে ১৯ থেকে ২০ টাকা করে। এতে হ্যাচারির মালিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন মহেশরৌহালী গ্রামের ফরজ হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ইনকিউড বেডে ১৫শ ডিম দিলে আগে খরচ হতো ২৫ হাজার টাকা এখন বর্তমানে লেগে যাচ্ছে ২৯ থেকে ৩২ হাজার টাকা, কিছু দিনের মধ্যে যদি হাঁসের ডিমের দাম না কমে যায় তাহলে গ্রামের হ্যাচারিগুলো চার ভাগের একভাগ ডিম দিতে পারবে।
সরোজমিনে গিয়ে হাঁসের খামারি রাশেদুল ইসলাম বলেন, হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যেমন আগে আমরা এক বস্তা হাঁসের খাদ্য কিনেছি ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকা কিন্তু এখন আমার হাঁসের খাদ্য কিনে খাওয়াচ্ছি প্রায় ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা করে।
অন্যদিকে হাঁসের খাদ্য হিসেবে ধানকে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ হিসেবে কিনে খাইয়েছি। আবার অন্য দিকে হাঁসের প্রিয় খাদ্য সামুক কিনে খাইয়েছি ১০০ থেকে ২০০ টাকা বস্তা কিন্তু, সেই বস্তা এখন হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, হাঁসের খাবার যদি এভাবে দিন দিন বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের কি দোষ, আমাদের হাঁসকে তো খাওয়াতে হবে তাহলেই তো হাঁস ডিম দিবে, যেমন করে দিন দিন হাঁসের খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে হাসে ডিমের দাম এতে আমাদের কোন কিছু করার নেই।
আবার মহেশরৌহ হালি গ্রামের হ্যাচারি পল্লীতে গিয়ে হ্যাচারির মালিক মোহাম্মদ মনিরুল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন। আমরা আগে বাচ্চা ফুটানোর জন্য হাঁসের ডিম কিনেছি ১২ থেকে ১৩ টাকা করে কিন্তু এবার আমাদের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৯ থেকে ২০ টাকা করে, তিনি আরো বলেন আগে আমরা যখন ডিম কিনেছি ১২ থেকে ১৩ টাকা করে বাচ্চা বিক্রি করেছি ২০ থেকে ২৫ টাকা করে, কিন্তু এবার আমাদের ডিম কিন্তু হচ্ছে ১৯ থেকে ২০ টাকা করে বাচ্চা বিক্রয় করতে হবে সম্ভবত ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে, এভাবে যদি ডিমের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমরা হয়তো সম্পূর্ণরূপে বেডে ডিম দিতে পারব না অসম্পূর্ণ থেকে যাবে কিছু ইনকিউবেট।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, হাঁসের খাদ্যের যেমন দাম বেড়ে যাচ্ছে অপরদিকে তার সাথে সাথে হাঁসের ডিমের দামও বেড়ে যাচ্ছে, হাঁসের খামারিরা যদি হাসকে ঠিকমতো খাবার দিতে না পারে তাহলে তো হাস ডিম দিবে না, তারা চড়া দামে খাদ্য কিনছে চড়া দামে ডিম বিক্রি করছে তবে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩ | সময়: ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ