সর্বশেষ সংবাদ :

বরেন্দ্রে গভীর নলকূপ পরিচালনায় কৃষক বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের ক্ষেতে সেচের পানির সংকটের কারণ চিহ্নিত ও পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতের দাবি জানালো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষকরা। একইসঙ্গে বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকূপ পরিচালনার ক্ষেত্রে কৃষি ও কৃষক বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় গভীর নলকুপ থেকে ভ-ূগর্ভস্থ পানি নিয়ে তীব্র জটিলতার কথা তুলে ধরেন কৃষকরা। এ সময় বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান বেগম আখতারে জাহান, নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ ছাড়াও উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশন সিসিবিভিও এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সিসিবিভিও, রাজশাহীর সমন্বয়ক মো. আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সিসিবিভিও নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার-ই কামাল স্বপন, কাস্টমস গোয়েন্দা শাখার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সুনন্দন দাস রতন উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিমিয় সভার সভাপতি সরল এক্কা শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। পরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া রাজশাহীর গোদাগাড়ীর প্রান্তিক ও নৃগোষ্ঠীর কৃষক, নলকূপ অপারেটর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
কৃষকদের পক্ষে বলা হয়, কোন অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেই জন্যই সরকার জাতীয় উন্নয়নকে অর্থবহ করতে খরা পীড়িত, তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া বরেন্দ্র অঞ্চলের সামগ্রীক উন্নয়নে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
১৯৯২ বিএমডিএ গঠনের পর থেকে পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন এবং মূলত বিগত দশক থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের স্থিতিশীল উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এই অঞ্চলের কৃষিতে চোখে পড়ার মত পরিবর্তন এসেছে।
তবে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের সাফল্যকে বিফল করতে কিছু স্বার্থান্বেষী, আসাদু ব্যক্তি/মহল পানিবন্টনের সেবা কার্যক্রমকে নীতিহীন পথে পরিচালিত করছে। ফলে বিএমডিএ’র উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যেখানে গভীর নলকূপগুলো বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তত্ত্ববধানে পরিচালিত হওয়ার কথা, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে- সেচের পানি ও গভীর নলকূপগুলো অপারেটরদের কবজায়। যাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে কৃষক। নলকূপ অপারেটর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির আড়ালে স্বজনপ্রীতি করা হচ্ছে, ফলে নলকূপগুলোর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে নীতিহীন আচরণ, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা বাড়ছে।
সভায় কৃষকরা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কৃষকরা তাদের জমিতে সেচের পানি নেয়ার জন্য সিরিয়াল নিতে গেলে গভীর নলকূপ অপারেটর তাদেরকে হয়রানি করে এবং পানি পেতে ৭-৮ দিন ঘোরাতে থাকে। পানি না দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিনা পারিশ্রমিকে বাড়ির কাজও করিয়ে নেয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কৃষকদেরকে।
এ অবস্থায় বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকূপ পরিচালনার ক্ষেত্রে কৃষি ও কৃষকবান্ধব আধুনিক, যুগোপযোগী ও পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। এছাড়া সুষ্ঠু তদারকির বিধান নিশ্চিত করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর