সর্বশেষ সংবাদ :

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে চাঙ্গা আ’লীগ

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীর জনসভা ঘিরে উজ্জীবীত হচ্ছে রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা খুবই গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে নিয়ে জেলায় জেলায় সংগঠিত হতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
রাজশাহী নগরের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে উত্তরের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ইতিমধ্যে পৌছেছে প্রধানমন্ত্রীর আাগমনী বার্তা। তাই নিজ নিজ এলাকা থেকে রাজশাহীর জনসভা সফল করতে গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুুতি। কেন্দ্রীয় নেতারাও ছুটে আসছেন উত্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে। প্রতিদিন সভা সমাবেশ করে নেতাকর্মীদের রাজশাহীর জনসভামুখি করতে প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর বিশাল জনসভা ইতিহাসের স্মরণকালের মহাজনসমুদ্রে রূপ নেবে। কেন্দ্র থেকেও নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক জনসমাগম করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাজশাহী বিভাগীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমনের বার্তা পৌছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রের নেতারা। এতে সায় দিয়েছেন রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগ এমনিতেই এখন অনেক শক্তিশালী-সংগঠিত। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আরো শক্তি সঞ্চারিত হবে। ইতিমধ্যে উজ্জীবীত হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা। সবকাজ ফেলে এখন তারা আগামী ২৯ জানুয়ারী রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নেমে পড়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, এবারের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে অতিতের স্মরণকালের। এ জনসভা রূপ দেওয়া হবে ইতিহাসের মহাজনসমুদ্রে। তাই এখন থেকেই নেতাকর্মীদের মাঠ পর্যায়ে উজ্জীবীত করতে কাজ শুরু হয়েছে।
দলীয় সভাপতির আগমন ও সমাবেশকে সফল করতে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে রাজশাহীতে একঝাঁক মন্ত্রী ও এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন ঘটছে। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে রাজশাহী শহর ছাড়াও বিভাগের সব জেলায় পোস্টার ব্যানার শোভা পাচ্ছে। তবে সবচেয়ে এখন বেশী উজ্জীবীত রাজশাহী জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ।
জানুয়ারির শুরু থেকেই রাজশাহীর জেলা-উপজেলা ও নগরের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্ততি সভা শুরু হয়েছে। এসব ওয়ার্ড থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রাজশাহীতে স্বাগত জানিয়ে প্রচার মিছিলও করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ঐতিহাসিক রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠেও সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে। সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শন করছেন শীর্ষ নেতারা। রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা থেকে এবারের জনসভায় অন্তত এক লাখ করে নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহনের ঘোষণাও দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার নেতারা।
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা থেকে আমাদের কিছু চাওয়া নেই। এ জনসভা কেবল উত্তরের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়ার পালা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জনসভা। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এ অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী যা দিয়েছেন, যেভাবে সাজিয়েছেন তার জন্য জনসভায় বিপুল মানুষের সমাগম ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। এ জন্য তার জেলা নওগাঁ থেকে সর্বত্মক কর্মী জনসভায় যোগ দিবেন বলে জানান তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, রাজশাহীর জনসভায় নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জের সব নেতাকর্মী যোগ দেবেন। তাই এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর মানুষের জন্য যা দিয়েছেন তা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অবিস্মরনীয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী জনসভা যে কোনো মুল্যে সফল করা হবে। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে রাজশাহীতে।
উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার নেতাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা ঘিরে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করার পাশাপাশি সমাবেশে ৭ লাখ মানুষের আগমনের যে র্টাগেট করা হচ্ছে তা সফল করা হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা পুরো রাজশাহী বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘এবারের জনসভা অতীতের জনসভার চেয়ে অনেক মানুষের সমাগম হবে। আমরা প্রমাণ দিব, শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি জনগণ। সমগ্র বাংলাদেশে সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগের যে সমাবেশ-জনসভাগুলো হয়েছে, সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। জনগণ যে আমাদের সঙ্গে আছে, সেটি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রতীয়মান হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে যে জনসভা হতে যাচ্ছে, সেদিন রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ হলেও পুরো শহরটাই সেদিন সমাবেশে রূপান্তরিত হবে। এজন্য এ অঞ্চলের নেতাকর্মীরা প্রস্তত রয়েছে। তাদের উজ্জীবীত করতে প্রতিটি জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন সমুহকে চাঙ্গা করা হচ্ছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ | সময়: ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ